মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৫২
শিরোনাম :
জুলাই সনদ পুরোপুরি আইনিভাবে প্রকাশের পর নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলনের দুমকী উপজেলায় মাদক বিরোধে ছুরির কোপ: আহত যুবক বরিশালে রেফার। বরিশালে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনে শহীদ নলছিটির সাহসী সন্তান সেলিম তালুকদারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী বরিশালের উজিরপুরে একমাত্র ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত! ভোলায় পাঁচ দিন ধরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন বৈষম্যবিরোধী নেত্রী ময়ূরপঙ্খী অ্যাওয়ার্ড পেলেন ‘বাংলার মিস্টার বিন’ খ্যাত রাশেদ সিকদার ঝালকাঠি জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম দুমকি উপজেলায়, ভয়াবহ রূপ নিয়েছে মাদক ব্যবসা ও সেবন।। ঢাকাস্থ্য দপদপিয়া ইউনিয়ন কল্যাণ সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ঈদ পূর্ন মিলন অনুষ্ঠান

কাশ্মীরে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বিশ্বের উচ্চতম রেলসেতু

অনলাইন ডেস্ক::

নতুন মুকুট মাথায় পরতে চলেছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপরে ধনুকের মতো বাঁকানো বিস্ময়কর রেলসেতুটির কাজ প্রায় শেষ। যা হতে চলেছে পৃথিবীর উচ্চতম রেলসেতু। উচ্চতায় যা হার মানাবে আইফেল টাওয়ারকেও!

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে টুইট করে নির্মীয়মাণ সেতুটির ছবি শেয়ার করেন ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শিগগিরই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে সেতুটি।

ধনুকাকৃতি এই সেতু কাশ্মীরকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করবে। ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হওয়া চেনাব নদী থেকে এই সেতুটির উচ্চতা ৩৫৯ মিটার। যা প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকেও উঁচু। সব মিলিয়ে যার দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার। নিঃসন্দেহে এই সেতু হতে চলেছে ওই অঞ্চলের পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র।

২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল সেতুর মূল ধনুকাকৃতি কাঠামোটির নির্মাণকাজ। কিন্তু গত বছর অতিমারীর ধাক্কায় সেই নির্মাণকাজ খানিকটা ব্যাহত হলেও নতুন করে কাজে গতি এসেছে সম্প্রতি। আশা, দ্রুত সম্পূর্ণ হয়ে যাবে সেতুটির নির্মাণ।

কর্তৃপক্ষের দাবি, রিখটার স্কেলে ৮ পর্যন্ত ভূমিকম্পের তীব্রতা সহ্য করতে পারবে এই সেতু। অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরকের আঘাতও অনায়াসে সয়ে নিতে পারবে এটি। যা কাশ্মীরের মতো স্পর্শকাতর এলাকার মানুষদের অনেকটাই স্বস্তি দেবে। ভারতীয় রেলের এই গৌরবময় প্রকল্প শুরু হয় ২০০৪ সালে। তবে বছর পাঁচেকের মধ্যেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এই আশঙ্কায় এগুতে চায়নি তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। কিন্তু মোদির আমলে নতুন করে শুরু হয় সেতুর নির্মাণ। অবশেষে তা শেষ হওয়ার মুখে।

পর্যটকদের কাছে ভূস্বর্গের আকর্ষণ কতটা তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও সন্ত্রাসের আবহে বহু ক্ষেত্রেই পিছু হটতে হয় তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত যে পর্যটকরা এখানে আসেন তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরে যায় চোখ ধাঁধানো নৈসর্গিক সৌন্দর্যে। চেনাব নদীর উপরের এই সেতু নিঃসন্দেহে তাদের আকর্ষণের তালিকার অন্যতম সংযোজন হতে চলেছে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা