বিজলী ডেক্স::
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিস্তার রোধকল্পে মোবাইল কোর্টে ২২ মামলায় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে।
রোববার (০১ আগস্ট) ডিএনসিসির ১ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে চারটি মামলায় ৪৭ হাজার ২০০ টাকা, ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.এস. এম সফিউল আজম পরিচালিত মোবাইল কোর্টে চারটি মামলায় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী পরিচালিত মোবাইল কোর্টে চারটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা, ৪ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ পরিচালিত মোবাইল কোর্টে দুইটি মামলায় ৪ হাজার টাকা, ৫ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যতন মার্মা পরিচালিত মোবাইল কোর্টে দুইটি মামলায় ১০ হাজার ২০০ টাকা, ৬ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা পরিচালিত মোবাইল কোর্টে একটি মামলায় ১০ হাজার টাকা, ৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান পরিচালিত মোবাইল কোর্টে দুইটি মামলায় ২০ হাজার টাকা এবং ১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শহিদুল ইসলাম পরিচালিত মোবাইল কোর্টে তিনটি মামলায় ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এভাবে মোট ২২টি মামলায় আদায়কৃত জরিমানার সর্বমোট পরিমাণ ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯০০ টাকা।
এ সময় মাইকিং করে জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হয় এবং সকলকে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএনসিসি মেয়রের আহবান ‘তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন’ মানার পাশাপাশি ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এদিকে করোনার সঙ্গে ঢাকায় লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতেই ২১৯ জন। রোববার (০১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার (১ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ের এই রোগীর সংখ্যার কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮২৮ জন। অন্যান্য বিভাগে রোগীর সংখ্যা ৩৪ জন। সব মিলিয়ে মোট রোগীর সংখ্যা ৮৬২ জন।
চলতি মৌসুমে শুধু শিশু হাসপাতালেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪ শিশু মারা গেছে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে আক্রান্ত আড়াই হাজার।