শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:১৮
শিরোনাম :
বিয়ের পরিচয় গোপন করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের সর্বনাশ করাই একমাত্র নেশা! সাংবাদিক খান তুহিনকে মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা ও পুলিশ কনস্টেবল’র বিরুদ্ধে মামলা উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপোর সাবেক ম্যানেজারের ব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়ম ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী হঠাৎ রাজধানীর আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রনী ; জরিমানা অর্ধলাখ টাকা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী: শহীদদের স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে কমতে পারে বৃষ্টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৮৭৫- আহত ৩০ হাজারের বেশি: এইচআরএসএস

প্রিয়া সাহার মিথ্যা বক্তব্য মার্কিন আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র: জয়

অনলাইন ডেক্স:  ‘মার্কিন দূতাবাস যে আওয়ামী লীগ বিরোধী তা নতুন কিছু নয়’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘তাদের সকল অনুষ্ঠানেই জামাত নেতাকর্মীরা ও যুদ্ধাপরাধীরা নিয়মিত আমন্ত্রিত হতেন। প্রিয়া সাহার মিথ্যা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তাদের সরাসরি আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র পরিষ্কারভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’

আজ রোববার সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এসব কথা বলেন। জয়ের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

“গত নির্বাচনের পর আমি একটু বিরতি নেই, তাই এই পেজেও কম পোস্ট করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার কিছু বলা উচিত বলে মনে হলো।

আপনারা হয়তো দেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার ভয়ংকর ও মিথ্যা দাবি। উনি বলেছেন বাংলাদেশ থেকে নাকি ৩ কোটি ৭০ লক্ষ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ‘গায়েব’ বা ‘গুম’ হয়ে গেছেন। প্রায় ৪ কোটির কাছাকাছি যে সংখ্যাটি উনি বলছেন তা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যার ১০ গুণেরও বেশি, আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যার কাছাকাছি। এতো মানুষ গুম হলো সবার অজান্তে? ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ গায়েব হলো কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই?

প্রিয়া সাহাকে আমেরিকায় পাঠানো হয় বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের মনোনয়নে। অনেক সমালোচনার পর আজ তারা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তারা বলেছেন তারা অংশগ্রহণকারীদের কথাবার্তার উপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেন না। কিন্তু যখন তাদের একজন মনোনীত অংশগ্রহণকারী তাদেরই রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে কোনো ভয়ংকর মিথ্যা বক্তব্য দিলেন, তাদের উচিত ছিল তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রতিবাদ জানানো, যা তারা করেননি।

এই বিষয়টি থেকে কিন্তু মার্কিন দূতাবাসেরই দুরভিসন্ধি প্রকাশ পায়। তারা জেনেশুনেই প্রিয়া সাহাকে বাছাই করে কারণ তারা জানতো উনি এই ধরণের ভয়ংকর মিথ্যা মন্তব্য করবেন। এই ধরণের কাজের পিছে একটাই কারণ চিন্তা করা যায়: মানবিকতার দোহাই দিয়ে আমাদের এই অঞ্চলে সেনা অভিযানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। মনে রাখা ভালো কয়েকদিন আগেই মার্কিন এক কংগ্রেসম্যান একটি বক্তব্যে বলেছিলেন বাংলাদেশের মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য দখল করা উচিত।

মার্কিন দূতাবাস যে আওয়ামী লীগ বিরোধী তা নতুন কিছু নয়। তাদের সকল অনুষ্ঠানেই জামাত নেতাকর্মীরা ও যুদ্ধাপরাধীরা নিয়মিত আমন্ত্রিত হতেন। প্রিয়া সাহার মিথ্যা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তাদের সরাসরি আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র পরিষ্কারভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সৌভাগ্যবশত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সরকার অন্যান্য দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নীতিতে বিশ্বাসী নন। তারা এই ধরণের ভয়ংকর মিথ্যা দাবি বিশ্বাস করার মতন বোকাও নন।”

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা