অনলাইন ডেক্স::
আন্দোলন, সংগ্রামের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না বলে যে আলোচনা সমালোচনা করা হচ্ছে তা হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ।
তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর নেই।’
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিল পাসের পরই তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো সারাজীবন আন্দোলন করেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। কারা তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে? জনবিচ্ছিন্নদের আন্দোলন নিয়ে আমরা ভয় পাব, তা হাস্যকর। জনগণ এই সরকারের সঙ্গে আছে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬ ভাগ শিক্ষার্থী বেকার- এমন পরিসংখ্যান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজগুলো, অনার্স ও মাস্টার্স করার অবকাঠামো নেই, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নেই, জনপ্রতিনিধিদের কারণে সেসব কলেজেও কোর্স চালু করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য হয়েছে। অনেকগুলো শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান আছে, খুবই ভালো প্রতিষ্ঠান আছে। সেগুলো ছাড়া আর বাকিগুলোতে মাস্টার্সের বিষয় থাকবে না। সেগুলোতে অনার্স থাকবে, বিএ, বিএসসি, বিকম সেগুলো থাকবে। ডিপ্লোমা করানো হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মে যুক্ত হতে পারেন।
‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১’ এ বলা হয়েছে, এ বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাদান এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল কৃষিজ দ্রব্যের প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও থাকবে এখানে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত শর্তে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কৃষিবিদ বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা অধ্যাপককে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন। কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি উপচার্য থাকতে পারবেন না।
এছাড়া জাতীয় সংসদে বুধবার উত্থাপিত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট বিল, ২০২১, বাংলাদেশ মেডিকেল ডিগ্রিজ (রিপিল) বিল, ২০২১ ও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ গভর্নিং বডিজ (রিপিল) বিল, ২০২১ পাস হয়।