অনলাইন ডেস্ক
তাপমাত্রা কমে আসায় সারা দেশে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের। আর হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ।
পৌষের শেষ লগ্নে দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পথঘাট। সাধারণ মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। আর সকাল গড়িয়ে দুপুর আসলেও রাস্তায় যাবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। একটু অসতর্কতায় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা পাওয়া গেলেও বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস।
এদিকে শীতের প্রকোপে সারা দেশে ভোগান্তিতে ছিন্নমূল মানুষ। সন্ধ্যা নামতেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন শীতের দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই কাজে যোগ দিতে পারছে না। আবার যারা কাজে যাচ্ছেন তাদের সন্ধ্যা নামতেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে হচ্ছেন।
তারা বলছেন, শীতের কারণে জীবনচলা ধীরগতি হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে শীতের প্রকোপ বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
এদিকে শীতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই নবজাতক।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দেশের উত্তর-পশ্চিম ও নদী অববাহিকা অঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়বে। রাজধানী ঢাকায় সকাল ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন নীলফামারীর ডিমলায়, ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া এদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।