এছাড়াও অপ্রয়োজনীয়ভাবে দোকান খোলা রাখায় ও ঈদ কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি অমান্য করায় আরও ৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ১৪ ক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ মে) সকালে নগরীর কাটপট্টি, চকবাজার ও গির্জা মহল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জিয়াউর রহমান।
প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়- করোনা রোধে সরকারের দেওয়া ‘লকডাউন’ সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও গির্জা মহল্লা এলাকার পোষাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ‘বৈশাখী’ এক ধরনের চোর-পুলিশ খেলছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দেখলে প্রতিষ্ঠানটি শাটার বন্ধ রেখে ভেতরে ক্রেতা সমাগম ঘটিয়ে বিক্রি করে। গত কয়েকদিনে এজন্য প্রতিষ্ঠান মালিককে একাধিকার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি শোনেননি। শুক্রবার দুপুরের পরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানের প্রাক্কালে একই দৃশ্য দেখা যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে- অভিযানকালে স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সবাইকে সঙ্গে করে কেনাকাটা করতে বের হয়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করায় ১৪ ক্রেতাকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২৫ (২) ধারায় ৫০০ টাকা করে মোট ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নগরের গির্জা মহল্লা, চকবাজার, পুলিশ লাইন ও ফলপট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ দোকানকে ১৩ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করেন আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাউর রাব্বী। এসব অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব-৮-এর একটি টিম ও কোতোয়ালি মডেল থানাপুলিশের একটি টিম সহায়তা করে।
ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান।’