প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৯, ২০২৫, ১:০৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারি ২১, ২০২১, ৪:২৭ অপরাহ্ণ
চরমোনাই ইউনিয়নে উন্নয়নের নামে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে :ব্যাপক অনিয়ম

* স্বল্প শ্রমীক দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ।
* শ্রমীকদের ২০০ টাকার স্থলে দেয়া হয় ১৭৫ টাকা।
* শ্রমীকের উপস্তিতি ছাড়াই ব্যাংক থেকে একক ভাবে টাকা উত্তোলন।
স্টাফ রিপোর্টার ।।
বরিশাল সদর উপজেলার ০৫ নং চরমোনাই ইউনিয়নে ৪০ দিনের অতি দরিদ্র কর্মসৃজন কর্মসুচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে ইজিপিপি প্রকল্পে প্রতিদিন ৪৩৬ জন শ্রমীক মাটি কাটার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ১৮০-২২০ জন কাজ করছে । প্রতিদিন ১জন শ্রমীক কর্তৃক ৩৫ ঘনফুট মাটি কাটায় মাথাপিছু পারিশ্রমীক বরাদ্ব হয় ২০০ টাকা। উক্ত প্রকল্পের প্রতিদিন বরাদ্ব ৮৭,২০০ টাকা এবং ৪০ দিনের মোট বরাদ্ব ৩৪ লাখ ৮৮,০০০ টাকা ।
শনি,রবি,সোম,মঙ্গল,ও বুধবার,পর্যন্ত কাজ করার পড় প্রতি বৃহস্পতিবার শ্রমীকরা নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্ট থেকে উক্ত পারিশ্রমীক তুলবে । এক্ষেত্রে দেখা যায় মাথাপিছু ২০০ টাকা বরাদ্ব হলেও মাএ ১৭৫ টাকা করে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হচ্ছে । অবশিষ্ঠ ২৫ টাকা বছরের জুলাই মাসের যে কোন দিন শ্রমিকরা তাদের নিজ নিজ ১০ টাকার ব্যাংক একাউন্ট থেকে তুলতে পারবে। কিন্তু দুর্নীতিবাজরা অবশিষ্ঠ ২৫ টাকা শ্র্রমীকদের অজান্তে ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে আত্বসাত করছেন।
এমন অভিযোগ শ্রমীকদের,যা বিগত কিস্তি গুলোতে খোজ মিলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চরমোনাই ইউনিয়নে ১ম কিস্তির বরাদ্বকৃত ৪৩৬ জন শ্রমীকের টাকা ঠিকমতো মাঠে কাজ না করিয়েই হযম করার কৌশলে অতিরিক্ত ১৮০-২২০ জন শ্রমীক দিয়ে কাজ করিয়েছেন। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ ডিজিটাল করার লক্ষে বিশ্ব ব্যাংক থেকে ১০ বছরের চুক্তিতে উচু নিচুু রাস্তাঘাট,স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ মাঠে মাটি দিয়ে ভড়াট করে সমানে সমান করার কথা থাকলেও,সরকারের উক্ত মহৎ উদেশ্যকে ভেস্তে নিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসিন দলের চেয়ারম্যান,টেক অফিসার,ইউনিয়ন সচিব,ব্যাংক ম্যানেজার, সিপিসি,সহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ। উক্ত ইউনিয়নে ৯ টি প্রজেক্ট এবং ৯ জন সিপিসি যারা ১ম কিস্তির ৪০ দিনের অতি দরিদ্র ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের বরাদ্বকৃত অর্থ লুটপাট করে পেটের ভুড়ী টানটান এবং আঙ্গুল ফুলিয়ে কলাগাছ হয়েছেন উক্ত প্রকল্পের সংশ্লীষ্ঠরা।
এ প্রকল্পে কমিটির মাধ্যমে মাটি কাটার কাজ সম্পুর্ন করার কথা থাকলেও চরমোনাই ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের মেম্বর'রা তাদের ব্যক্তি খমতায় ইউনিয়নের কিছু অসাধু লোকদের নিয়ে হ-য-ব-র-ল কাজ করিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংক উক্ত বরাদ্ধ গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের আওতাভুক্ত সরাসরি ইউএনও-র মাধ্যমে চেক সাপ্লাই নিয়ে সিপিসি-রা শ্রমীকদের হাতে হাতে দেওয়ার কথা থাকলেও শ্রমীকদের এ্যাকাউন্ট বই গোপন করে রেখে সিপিসি-রা মাষ্টার রুল তৈরি করে ডান হাতে-বাম হাতে নিজেদের টিপসই দিয়ে কোন শ্রমীকের উপস্তিতি ছাড়াই ব্যাংক থেকে একক ভাবে টাকা উত্তোলন করে ভাগ বাটোয়ারা করছেন।
শ্রমীকরা নিজেদের একাউন্টের টাকার খবরও জানেনা বা তাদেরকে জানানোও হয়না। এদিকে শ্রমীকদের উক্ত প্রকল্পের পারিশ্রমীক তুলতে স্হানিয় ব্যাংকে ১০ টাকার একাউন্টও খোলা হয়েছে। একজনের একাউন্টের টাকা অন্যজন তুলে নিচ্ছে সে ব্যাপারে বালুকনা পরিমান কর্নপাত/ভূমিকা রাখছে না সংশ্লিষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ।
পত্রিকার পাতায় কালো কালিতে লোপাটের সংবাদ প্রকাশ হলেই লুটপাট বাহিনির রাজমশাইরা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। অথচ প্রতি বছর এক একজন শ্রমীকের একাউন্টে জমা হয় ৫ থেকে ৮,০০০ টাকা যেই টাকার খবরও যানেনা শ্রমীকরা। চরমোনাই ইউপি সচিবের কাছে প্রকল্পের কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক'কে বলেন, আমি এখন ব্যাস্ত আছি এবং আপনারা হালিম স্যারের সাথে কথা বলেন। হালিম স্যারের সাথে কেন কথা বলবো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ৪০ দিনের কর্মসুচির কাজের ১টা % বরিশাল পূর্বাঞ্চলীয় প্রেস ক্লাবের নামে নেয়। কারা এই টাকাটা নেয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফেরদাউস ও সাধারন সম্পাদক আরিফসহ আরও ২-৩ জন। এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসারকে ফোন করলে তিনি ফোন কেটে দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Copyright@2023 Bijly Barta. All rights reserved.