অনলাইন ডেস্ক::
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ৩৫ বারের মতো পেছাল এ মামলার শুনানি। রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ বেগম জিয়ার আইনজীবীদের বার বার সময় আবেদনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। আর বেগম জিয়ার আইনজীবীদের দাবি তাদের মক্কেল গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় আদালতে হাজির হচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ গঠন শুনানিতে অংশ নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আদালতের দেয়া দ্বিতীয় দফার শেষ সময় সীমার দিনেও অনুপস্থিত বেগম জিয়া।
মহামারির মধ্যে বাইরে বের হওয়া 'নিরাপদ নয়' এই যুক্তি দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে ৩৫ বারের মতো সময় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। একইসঙ্গে ভার্চুয়ালি শুনানির প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করেন তারা।
আবেদনটি মঞ্জুর করে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান ১৬ দিন সময় দিয়ে আগামী দোসরা মার্চ অভিযোগ গঠন শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এদিকে দুদক আইনজীবী বলছেন ভার্চুয়ালি মামলার শুনানি করা সম্ভব হলেও, বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া প্রমাণ করে তারা মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত করতে চাইছেন।
কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০১৮ সালে মোট ১১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।