অনলাইন ডেস্ক::
রফতানিকারক ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় করোনার প্রভাবে শ্রমিক সংকটে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের অস্থিরতা কমছে না। বুকিং রেট লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লাগামহীন। গত দুমাসে ভোজ্য তেলের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১৮ থেকে ২২ টাকা। বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া দরের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে বাজারে। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় অনেক ব্যবসায়ীই সয়াবিন আমদানিতে আগ্রহ হারাবেন। এতে করে সরবরাহ ও বাজার দরের উপর আরও প্রভাব পড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
নানা অজুহাতে গত ৬ মাস ধরেই বাড়ছিল সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে বাজার দর এক প্রকার লাগামহীন হয়ে পড়ে। এমন কোনো দিন নেই, যেদিন ভোজ্যতেলের দর ঊর্ধ্বমুখী ছিল না। আর এ দু'মাসে মণ প্রতি দাম বেড়েছে ৮শ থেকে ১২শ টাকা।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আব্বাস সওদাগরের ম্যানেজার জাফর আহমেদ জানান, ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম।
এখনকার পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা জানান, কি কারণে তেলের দাম এমন হারে বাড়ছে তা তাদের জানা নেই।
বাজার ঘুরে দেখা যায় পাইকারির চেয়ে খুচরা পর্যায়ে এই তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ সময় ১০২ টাকার প্রতি লিটার সয়াবিন তেল পৌঁছে যায় ১২২ থেকে ১২৪ টাকায়।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, নানা জটিলতায় ভোজ্যতেল রফতানিকারক দেশ হিসাবে পরিচিত ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় বুকিং রেট বর্তমানে লাগামহীন। সয়াবিন তেলের ৬শ মার্কিন ডলারের বুকিং রেট দ্বিগুণ হয়ে এখন ১২২০ মার্কিন ডলার।
মেসার্স আর এম এন্টারপ্রাইজের মালিক আলমগীর পারভেজ জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাবটা পড়ছে স্থানীয় বাজারের উপর।
সরকারের বেঁধে দেয়া দরের চেয়ে বাজারে বিক্রি হওয়া ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেশি। এ অবস্থায় বুকিং রেট এবং বাজারদরের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকায় মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া দর কাজে আসবে না বলে মনে করছেন এ ব্যবসায়ী।
মেসার্স সবুজ কমার্শিয়ালের মালিক মোহাম্মদ শাহেদ উল আলম বলেন, মন্ত্রণালয় যদি মূল্য নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা আমদানিতে উৎসাহ হারাবে। এতে করে উভয় দাম ও সরবরাহ দুয়ের উপরই প্রভাব পড়বে।
বছরে ২২ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে দেশে। যার পুরোটাই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।