অনলাইন ডেক্স:
লঙ্কানদের সঙ্গে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পরও সমালোচনার শুনতে হচ্ছে টাইগারদের। ম্যাচে জয় পেলেও দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছাড়া জুনিয়ররা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ। এটাকে অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান। শুধু ক্রিকেটারদেরই নয়, দলের হাল ধরতে পারার মতো খেলোয়াড় তুলে আনতে নির্বাচকদেরও কাজ করতে হবে বলে মনে করেন সাবেকরা।
এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হারানো হয়ে গেলেও শ্রীলঙ্কা ছিল অধরা। নবমবারের চেষ্টায় ইতিহাস গড়লো টাইগাররা। স্বস্তির জয়ের পরেও আছে প্রশ্ন। ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্স কী ঊর্ধ্বমুখী, নাকি লঙ্কানদের খাম খেয়ালিপনায় কারণেই জিতেছে বাংলাদেশ?
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা আর বরাবরের মতো ক্যাচ মিসে এটা স্পষ্ট, প্লেয়াররা নিজেদের শোধরাতে পারেনি। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাঁধে চড়ে এবারও ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। ছোটরা এবারও ফ্লপ। কতদিন আর মুশফিক-রিয়াদদের ব্যাটে ভর করে জিতবে টাইগাররা। লিটন-মোসাদ্দেকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও, দলের হাল ধরতে পারা শেখেনি। যা ভবিষ্যতে ভোগাবে বাংলাদেশকে। মনে করেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, ‘তারা ৬-৭ বছর ধরে ক্রিকেট খেলেন। এতদিন পরে এসেও এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া কষ্টকর। তাদের পেশাদারিত্ব বাড়াতে হবে।’
তবে দায়টা কি কেবল ক্রিকেটারদের? কিছু ক্রিকেটারদের ধারাবাহিক বিপর্যয়ে নির্বাচকদের দিকেও আঙ্গুল তুলছেন সাবেকরা। গেল এক দশকেও যে সাকিব-তামিম-মুশফিক-রিয়াদদের মতো ধারাবাহিক পারফর্মারদের তুলে নিয়ে আসতে পারেননি নির্বাচকরা। সিরিজ জিতে ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে উঠলেও এসব বিষয় আসছে ঘুরে ফিরে।
ছোট ছোট ভুলগুলো বড় দলের সঙ্গে করলে হয়তো ম্যাচ জয় কঠিন হতো। তাইতো অধিনায়ক তামিমের মতে ‘পারফেক্ট’ জয় খুঁজে পেতে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে টিম টাইগার্স।