অনলাইন ডেস্ক::
প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই করোনার মধ্যেও আর্থসামাজিক গতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৮ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাঠ প্রশাসনকে আরও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জবাবদিহি বজায় রেখে সেবামূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তার আন্তরিক সক্রিয়তায় করোনার বাধায় বাংলাদেশ এখনো সচল রয়েছে। সবাই যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই আর্থসামাজিক গতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।
জনগণকে সেবা দিতে জবাবদিহির চর্চা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। বলেন, মাঠে আরও সজাগ থাকতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ক্ষেত্রে।
সবাইকে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা সবার জন্যই রয়েছে। সবাই ভ্যাকসিন পাবে, এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
এদিকে, সরকারি সেবা পেতে মানুষের হয়রানি কমিয়ে জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে প্রচলন ঘটে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির। পরে যা সম্প্রসারিত হয় মাঠ প্রশাসন পর্যন্ত।
প্রতি বছরের মতো এবারও স্বাক্ষরিত হলো সরকারের সব মন্ত্রণালয় বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। রোববার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একযোগে সব সচিব ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসব চুক্তিপত্র গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। একই সঙ্গে সময়মতো সব কাজ করায় তিনটি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয় জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার।