বিশেষ প্রতিনিধি (আহমেদ মুন্না)::
রাত পোহালেই বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে লড়বেন দুই প্রার্থী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন স্বপন ও বরিশাল জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কন্যা ফারজানা বিনতে ওহাব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের পক্ষে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের বিভক্ত সকল গ্রুপ। এছাড়াও তাকে একক সমর্থন দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতাকর্মী। ফলে বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে মাঠে অনেকটাই চাঙ্গা কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে সুপরিচিত সরদার খালেদ হোসেন স্বপন। স্থানীয় থেকে জাতীয়, বিভিন্ন নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর রয়েছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। তাকে ইলেকশনের ‘মাস্টার মেকার’ হিসেবেও অভিহিত করেন কেউ কেউ। বিগত ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই নিজের মাঠ অনেকটা গোছানো সরদার খালেদ হোসেন স্বপন তাই এবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এদিকে ভোটের মাঠে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সাথে সমানতালে সরব থেকে নিরব ভোটবিপ্লব ঘটাতে চান মুক্তিযুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার ও বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদ আবদুল ওহাব খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারজানা বিনতে ওহাব। তিনি বরিশাল জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে ‘বাবুগঞ্জের অগ্নিকন্যা’ নামে সুপরিচিত ফারজানা বিনতে ওহাব এর আগেও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্দলীয় এবং সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ফারজানা বিনতে ওহাব। কীর্তিমান পিতা ওহাব খানের ইমেজে সর্বমহলে রয়েছে তাঁর আলাদা গ্রহণযোগ্যতা। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সাধারণ জনগণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন এমনটাই ধারণা করেন ফারজানা বিনতে ওহাব।
তবে কে হাসবেন বিজয়ের শেষ হাসি সেটা আগামীকাল ৫ জুন নির্ধারিত হবে। সরদার খালেদ হোসেন স্বপনের বিশাল কর্মীবাহিনী কি জয়ের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন নাকি জনগণের নিরব ভোটে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হবেন ফারজানা বিনতে ওহাব? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪১ জন। নির্বাচন বিশ্লেষকদের ধারণা, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার ভোট কাস্ট হতে পারে। তবে সাধারণ জনগণ ব্যাপকভাবে ভোটকেন্দ্রে গেলে এই সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার ভোটের মধ্যেই নির্ধারিত হতে পারে এবার কে বসবেন বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের মসনদে।