মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৫০
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

লালু ও কালুর দাম ১০ লাখ

বাগেরহাটে কোরবানি জন্য প্রস্তুত লালু-কালু। এই পশু দুটি কার ভাগ্যে জুটবে তা এখনও জানা যায়নি। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, দামও বলছেন ৬ লাখ। লালু ও কালুর ওজন হবে ৫০ মনের উপরে। পশু দুটির উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট এবং লম্বা প্রায় ৮ ফুট।

এর আগে গত বছর কোরবানির ঈদে জেলার সেরা ছিল যমজ লাল্টু-বল্টু, যাদের ওজন ছিল ৬০ মণ। লাল্টু-বল্টুকে নিয়েও মানুষের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মত। বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের চিন্তারখোড় গ্রামে ফেরদাউস আহমেদ সৈকতের বাড়ির সামনে রাস্তার বিপরীত পাশেই সৈকতের গুরুর খামার।

তিনি বলেন, দেশে উচ্চ শিক্ষা শেষে যুক্তরাজ্যে চলে যাই। সেখানে ৬ বছর থেকে ২০১৬ সালে বাড়িতে আসি। বাড়িতে এসে মৎস্য খামার ও গরুর ফার্ম শুরু করি। তার ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার শ্রীঘাট এলাকার এক খামারীর কাছ থেকে লালু-কালুকে ক্রয় করি। নিজের খামারে এনে তাদের যত্নসহকারে লালন পালন করি। খামার পরিচর্যার জন্য আলাদা লোক থাকলেও সার্বক্ষণিক নিজে তদারকি করি লালু-কালুর। এ বছর আমি লালু-কালুকে বিক্রি করব। দশ লাখ টাকা দাম চেয়েছি, ইতিমধ্যে অনেক ক্রেতা এসেছে।

একজন ছয় লাখ টাকা দামও বলেছে। আশা করি, কোরবানি যত ঘনিয়ে আসবে আমার লালু কালুর দামও বৃদ্ধি পাবে। কাঙ্ক্ষিত দামেই লালু-কালুকে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সৈকত।

লালু-কালুর পরিচর্যাকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, পশু দুটো আমাদের পরিবারের সদস্যদের মত আপন হয়ে গেছে। সকালে উঠে ওদের থাকার জায়গা পরিস্কার করে খাবার দেই। দুপুরের আগেই গোসল করিয়ে শরীর মুছে দেই। গরমের সময় ফ্যান চলে সর্বক্ষণ আর বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক সময় হাতপাখা দিয়েও বাতাস করি ওদের। সব সময় ওদের দিকে আমার খেয়াল থাকে। তিনি আরও বলেন, ভুষি, কুড়া, খৈল, ডালের পানি, কাঁচা ঘাস, চিটেগুড়সহ সকল প্রকার দেশীয় খাবার খেয়ে বড় হয়েছে লালু কালু। মোটা তাজাকরণের জন্য কোন প্রকার কৃত্রিম হরমোন বা খাবার খাওয়ানো হয়নি লালু-কালুকে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) ডা. মো.  লুৎফর রহমান বলেন, সৈকতের খামারের গরু দুটো এ বছর বাগেরহাট জেলার সব থেকে বড় গরু। এজন্য আমরা গরু দুটোর প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছি। প্রয়োজন অনুযায়ী কৃমি নাশক ঔষধ ও প্রতিশেধক টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে কোন প্রকার মাংস বর্ধক হরমোন বা এন্টিবায়োটিক এ গরুকে পুশ করা হয়নি।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা