মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:০১
শিরোনাম :
নেছারাবাদ সাগরকান্দার কুখ্যাত ডাকাত রুবেল খুলনায় আটক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ‍্যে নেছারাবাদ উপজেলায় মতবিনিময় সভা বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবসের কর্মসূচি প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রয় নিল ১৪ মিয়ানমার সেনা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি: শেখ ফজলে শামস পরশ বিআইডব্লিউটিএ’র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সার্ভিসের সাতটি ইউনিট অগ্রণী ব্যাংক ৯৭৫ তম রায়পুরা শাখার উদ্বোধন আসন্ন রায়পুরা পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে মোঃ বাহাউদ্দীনকে কাউন্সিলর করতে চান “ওয়ার্ডবাসী”

লালু ও কালুর দাম ১০ লাখ

বাগেরহাটে কোরবানি জন্য প্রস্তুত লালু-কালু। এই পশু দুটি কার ভাগ্যে জুটবে তা এখনও জানা যায়নি। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন, দামও বলছেন ৬ লাখ। লালু ও কালুর ওজন হবে ৫০ মনের উপরে। পশু দুটির উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট এবং লম্বা প্রায় ৮ ফুট।

এর আগে গত বছর কোরবানির ঈদে জেলার সেরা ছিল যমজ লাল্টু-বল্টু, যাদের ওজন ছিল ৬০ মণ। লাল্টু-বল্টুকে নিয়েও মানুষের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মত। বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের চিন্তারখোড় গ্রামে ফেরদাউস আহমেদ সৈকতের বাড়ির সামনে রাস্তার বিপরীত পাশেই সৈকতের গুরুর খামার।

তিনি বলেন, দেশে উচ্চ শিক্ষা শেষে যুক্তরাজ্যে চলে যাই। সেখানে ৬ বছর থেকে ২০১৬ সালে বাড়িতে আসি। বাড়িতে এসে মৎস্য খামার ও গরুর ফার্ম শুরু করি। তার ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার শ্রীঘাট এলাকার এক খামারীর কাছ থেকে লালু-কালুকে ক্রয় করি। নিজের খামারে এনে তাদের যত্নসহকারে লালন পালন করি। খামার পরিচর্যার জন্য আলাদা লোক থাকলেও সার্বক্ষণিক নিজে তদারকি করি লালু-কালুর। এ বছর আমি লালু-কালুকে বিক্রি করব। দশ লাখ টাকা দাম চেয়েছি, ইতিমধ্যে অনেক ক্রেতা এসেছে।

একজন ছয় লাখ টাকা দামও বলেছে। আশা করি, কোরবানি যত ঘনিয়ে আসবে আমার লালু কালুর দামও বৃদ্ধি পাবে। কাঙ্ক্ষিত দামেই লালু-কালুকে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সৈকত।

লালু-কালুর পরিচর্যাকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, পশু দুটো আমাদের পরিবারের সদস্যদের মত আপন হয়ে গেছে। সকালে উঠে ওদের থাকার জায়গা পরিস্কার করে খাবার দেই। দুপুরের আগেই গোসল করিয়ে শরীর মুছে দেই। গরমের সময় ফ্যান চলে সর্বক্ষণ আর বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক সময় হাতপাখা দিয়েও বাতাস করি ওদের। সব সময় ওদের দিকে আমার খেয়াল থাকে। তিনি আরও বলেন, ভুষি, কুড়া, খৈল, ডালের পানি, কাঁচা ঘাস, চিটেগুড়সহ সকল প্রকার দেশীয় খাবার খেয়ে বড় হয়েছে লালু কালু। মোটা তাজাকরণের জন্য কোন প্রকার কৃত্রিম হরমোন বা খাবার খাওয়ানো হয়নি লালু-কালুকে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) ডা. মো.  লুৎফর রহমান বলেন, সৈকতের খামারের গরু দুটো এ বছর বাগেরহাট জেলার সব থেকে বড় গরু। এজন্য আমরা গরু দুটোর প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছি। প্রয়োজন অনুযায়ী কৃমি নাশক ঔষধ ও প্রতিশেধক টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে কোন প্রকার মাংস বর্ধক হরমোন বা এন্টিবায়োটিক এ গরুকে পুশ করা হয়নি।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা