বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৪৮
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার

অনলাইন ডেস্ক::

সামরিক অভ্যুত্থানের পর তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল মিয়ানমার। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির শহরে শহরে জড়ো হয়েছেন অভ্যুত্থানবিরোধী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তারা বলছেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আটক অং সান সু চিকে মুক্তি এবং রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে সামরিক বাহিনীর অপসারণ দাবিতে দেশব্যাপী এ আন্দোলন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইতোমধ্যে আন্দোলনে যোগও দিয়েছে অনেকে। বলা হচ্ছে, আরও বড় আকারে এবং সংগঠিত হচ্ছে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ। সোমবার বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদেরও একটি দল। তাদের সঙ্গে ভ্যানগার্ড হাতে রয়েছেন শত শত শ্রমিক এবং শিক্ষার্থীরাও।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) লাল রঙের ব্যানার এবং বৌদ্ধদের বহু রঙের পতাকা উড়াচ্ছেন।

খবরে বলা হয়েছে, ‘আমাদের নেতাদের মুক্তি দিন, আমাদের ভোটকে সম্মান করুন, সামরিক অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যান করুন’ স্লোগানে প্রতিবাদের জোয়ার উঠেছে মিয়ানমারে। ‘গণতন্ত্রকে বাঁচান এবং স্বৈরশাসনকে না বলুন’ এই স্লোগানও দিচ্ছে অনেকে। আন্দোলনকারীদের অনেকেই আবার কালো পোশাক পরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।

এর আগে দেশটিতে দ্বিতীয়দিনের মতো বড় বিক্ষোভ হয় রোববার। এ দিন ২০০৭ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বাধীন ‘জাফরান বিপ্লবের’ পরে অভ্যুত্থানবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ‘ইয়াঙ্গুনের প্রতিটি কোণ থেকে দয়া করে শান্তিপূর্ণভাবে বেরিয়ে আসুন এবং জনগণের সভায় যোগ দিন’ ফেসবুকে এ আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অ্যাক্টিভিস্ট আই থিনজার মাং। একইসঙ্গে জান্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নেটওয়ার্ক বন্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে সমাবেশ করতে হবে। ভিপিএন নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহারের অনুরোধ করেছেন তিনি।

১ ফেব্রুয়ারি ভোরে অং সান সু চি, উইন মিন্টসহ দলের সিনিয়র নেতাদের আটক করে জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইং।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা