অনলাইন ডেস্ক::
ভারতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ কর্মসূচির অধীন টিকা রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা বলেন, অন্তত আগামী জুলাই পর্যন্ত এই অবস্থা বহাল থাকতে পারে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রফতানির ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্টতা নেই। আমরা এখন মনে করছি, মহামারি চলাকালে অন্তত দুমাস আমরা রফতানির দিকে নজর দিতে পারব না।
‘সম্ভবত জুন-জুলাইয়ে আমরা ফের ছোট আকারে রফতানি শুরু করতে পারব। বর্তমানে আমরা জাতীয় চাহিদাতে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।’
কোভিশিল্প ও কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বাড়াতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সাড়ে চার হাজার কোটি রুপি বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট বলছে, সরকারি সহায়তা আসার অপেক্ষায় থাকার বদলে তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে।
রাজ্যগুলোতে কোভিশিল্ডের একটি ডোজ ৪০০ রুপিতে আর প্রাইভেট হাসপাতালে ৬০০ রুপিতে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। আর প্রতিটি ডোজ ১৫০ রুপিতে কিনবে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে ভারতে টিকা উৎপাদনে কাঁচামালের রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে ক্ষুদে ব্লগ টুইটারের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আহ্বান জানিয়েছেন আদর পুনাওয়ালা।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে প্রবল চাপে পড়েছে ভারত। হাসপাতালে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। অক্সিজেনের মজুত সংকটে বেসামাল রাজধানী দিল্লি।
সংক্রমণ বাড়ার হারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে না করোনাভাইরাসের টিকার উৎপাদন। ফলে অনেক রাজ্যেই কমবেশী থমকে গেছে টিকাদান কর্মসূচি।
বিবিসি বলছে, বেশ কিছু রাজ্যে কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি সংক্রামক ও প্রাণঘাতী হয়ে দেখা দিয়েছে। যদিও ভারতে এখনও পর্যন্ত এই মহামারিতে মৃত্যুহার তুলনামূলক কম।
তবে সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যাওয়ায় দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুরঙ্গের শেষ প্রান্তের আলো তাদের নজরে আসছে না।