অনলাইন ডেক্স::
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি শুধু ভাষার অধিকারই ছিনিয়ে আনেনি, বাঙালি সেদিন খুঁজে পায় আত্মপরিচয়। এরপর আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এসেছে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তিতে সর্বস্তরে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বাঙালির।
১৯৪৮ সালের মার্চ। জীবনে প্রথম ও শেষবার পূর্ববঙ্গে আসেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘোষণা করেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। জিন্নাহ তখনো হয়তো ভাবেননি, সেখানে উচ্চারিত কিছু শব্দই একসময় তারই প্রতিষ্ঠিত নতুন দেশের ভাঙন ডেকে আনবে।
বহু জাতি নিয়ে গড়া পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষের ভাষা বাংলা হলেও ৬ শতাংশের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাঁয়তারা করে শাসকগোষ্ঠী। প্রতিবাদে রাজপথ প্রকম্পিত করে স্লোগান তোলে বাঙালি। গর্জে ওঠে শত্রুর বুলেট। রক্তাক্ত হয় রাজপথ। প্রতিষ্ঠা পায় মায়ের ভাষার অধিকার।
একুশ অবিনাশী সূত্রে গাঁথে বাঙালিকে। দানা বাঁধে জাতীয়তাবাদ। পরে ছয় দফা, ছাত্রদের ১১ দফা, মওলানা ভাসানীর ১৪ দফা, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। চূড়ান্ত পরিণাম একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। অভ্যুদয় স্বাধীন বাংলাদেশের।
বাঙালি জাতিসত্তার প্রথম রক্তাক্ত ফলক একুশ। সাত দশকে এসে সর্বস্তরে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠাসহ একুশের চেতনা বুকে ধারণ করেই এগিয়ে যাবে বাঙালি।