বিজলী ডেস্ক::
নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার বিভাগীয় বইমেলা শেষ হয়েছে। সাত দিনব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পাঠকদের যেন উৎসবের আমেজ ছিল।
মেলায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। আজ সমাপনী দিনে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। বক্তারা বলেন, বই পড়তে হবে। বই লিখতে হবে। বইয়ের সাথে গড়তে হবে গভীর মিতালী। বই পড়ার জন্য আলাদা সময় লাগে না। মনন লাগে। বই পড়ার উদ্দেশ্য সার্টিফিকেট অর্জন নয়, বড় মানুষ হওয়া। মনের বিকাশ ঘটানো।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান। বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ শহিদুল্লাহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ পারভেজ হাসান, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, মাধ্যমিকও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্বাস উদ্দিন খান বক্তৃতা করেন।
বক্তারা আরও বলেন, মানুষের জীবনে আসল আলো জ্ঞান। এই আলো আসবে বই থেকে। সে জন্য বই হবে নিত্য সঙ্গী। বই জীবনে চলার পথে আলো দেখায়। জ্ঞান অর্জণের মাধ্যম হচ্ছে বই। মননশীল জাতি গঠনের জন্য বইমেলা অনন্য মাধ্যম। আমরা আলোকিত মানুষ গড়তে চাই। বই আলোর প্রতীক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত করতে হলে বই লাগবে। বই হচ্ছে অনুপ্রেরণা । বই কল্পনা করতে শেখায় । বই ভালো মানুষ হতে শেখায়। বই মেধাকে জাগ্রত করে। সেজন্য শিশুদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ পারভেজ হাসান জানান মেলায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার বই বিক্রয় হয়েছে। বইয়ের সংখ্যা প্রায় আট থেকে ১০ হাজার। বিভাগীয় বইমেলা শুরু হয় গত আট নভেম্বর।