শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৪৮
শিরোনাম :

ভুয়া আইডি কার্ড ও জালজালিয়াতি করে সরকারি চাকরিতে বহাল তবিয়তে শওকত !

নিজস্ব প্রতিবেদক::

দীর্ঘদিন যাবত ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি ভূমি অফিসে চেইনম্যান পদে কর্মরত রয়েছেন শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা শওকত হোসেন, পিতাঃ হযরত আলী, মাতাঃ আমিন নেছা জন্মসূত্রে ওই এলাকার বাসিন্দা। বিগত কয়েক বছর যাবত এই ব্যক্তি ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় সহকারি ভূমি কমিশনার অফিসে চেইনম্যান পদে কর্মরত ছিলেন।

বিগত ২৪- ১১-২০২২ই়ং তারিখ এনায়েত হোসেন খান নামে এক ব্যক্তি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর জনৈক শওকত নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত করেন এবং ২৫- ৯-২০২৪ইং তারিখ জেলা প্রশাসক পিরোজপুর বরাবর আবেদন করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উক্ত শওকত নামের ব্যক্তি বর্তমানে নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সেহাংগল গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার ২৭৮ ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার পায়তারা করছে।

বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায় শওকত নামের কোন ব্যক্তি তাহার কোন আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত কেউ নয় বিষয়টি নিয়ে বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন আমার বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করে শওকত নামের এক ব্যক্তি আইডি কার্ড তৈরি করছে আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে সমুদয়কাঠী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ভুয়া ওয়ারিস সনদপত্র সংগ্রহ করে প্রতারণার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচন অফিস কে ম্যানেজ করে একটি আইডি কার্ড তৈরি করেছেন। পরবর্তীতে সমুদয়কাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির বেপারী নির্বাচন অফিস বরাবর লিখিতভাবে জানিয়ে দেন যে ওয়ারীস সনদপত্র টি জাল ।ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এরকম কোন ওয়ারিশ সনদপত্র প্রদান করা হয়নি। তৎকালীন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শাহিন শরীফ উক্ত ঠিকানায় গিয়ে তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রতারক শওকতের আইডি কার্ডটি বন্ধ করে দেন। গত ২৪-০৯-২০২৪ইং তারিখ উপজেলা নির্বাচন অফিস নেছারাবাদ বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়েছেন এনায়েত হোসেন খান নামে এক ব্যক্তি।

বর্তমানে শওকত নামে ঐ ব্যক্তি উপজেলা ভূমি অফিসে আসেন না তিনি বর্তমানে কোথায় চাকরি করেন জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে বলেন আপনার সাথে আমি পরে কথা বলব এরপর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে শওকত কোথায় চাকরি করেন আদৌ তিনি এই পদে কর্মরত আছেন কিনা সেটি জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শওকত পুনরায় একটি ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে আবার পূর্বের কর্মস্থলে ফেরার চেষ্টা করতেছে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা