বিজলী ডেক্স: ঈদ ছুটি কাটাতে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া, কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া- দৌলতদিয়ায় নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।
দক্ষিন বঙ্গের ২৩ জেলার একমাত্র প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া কাঠালবাড়ী নৌ রুট দিয়ে ঈদে ঘুরমুখো মানুষ ছুটে চলেছে নিজ নিজ গন্তব্যে। গেলরাত থেকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শিমুলিয়া – কাঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল চালু করে বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডাব্লিউটিএ । সকাল থেকে ঘাট এলাকায় ছোট ছোট পরিবহন ফেরি পারপার হতে দেখা গেছে। বিআইডাব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক শফিক আহাম্মেদ জানান, বর্তমানে ছোট বড় ১৪ টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট দিয়ে ছোট বড় ব্যক্তিগত গাড়ী এবং যাত্রীরা নির্বিগ্নে পাড় হচ্ছে।
কাঠালবাড়ি নৌরুটের লঞ্চ, স্পীডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে ঠাসাঠাসি করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। এদিকে, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়লেও ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে ব্যাপক হারে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ আর কয়েকগুণ বেশি টাকা খরচ করে কাঠালবাড়ি ঘাট থেকে বরিশাল, খুলনা, ভোলা, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন যাত্রীরা
এদিকে, পাটুরিয়া- দৌলতদিয়ায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। সকাল থেকে হাজার হাজার ব্যাক্তিগত গাড়ি নিয়ে মানুষ ঘাট পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মানুষ পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে নদী পার হযে নিজ-নিজ গন্তব্য স্থলে যাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ১৬ টি ফেরি থাকলেও প্রয়োজন অনুযায়ী ফেরি দিয়ে যানবাহন পার করা হচ্ছে।