বুধবার, ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৩৮
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও ‘অস্বস্তিতে’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

অনলাইন ডেস্ক::

করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও স্বস্তির কারণ দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভাইরাস কিংবা মানুষের আচরণ পরিবর্তনে আবারো দেখা দিতে পারে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। তাই দরকার জীবন যাপনে কৌশলগত পরিবর্তন।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগও গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে। সপ্তাহখানেক হলো দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিম্নমুখী। সংক্রমণের হারের পাশাপাশি কমছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

তবে ক্রমহ্রাসমান এ ধারাকে স্থায়ী সমাধান মানছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় এনেও পরিস্থিতি বাগে আনতে পারেনি ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশ। তাই ভাইরাসের আচরণ পরিবর্তনে আবারো পরিবর্তন আসতে পারে সংক্রমণে। এছাড়া মানুষের আচরণ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। তাই দরকার জীবনধারায় পরিবর্তন আনা। আর তা না হলে আবারো বদলে যেতে পারে দৃশ্যপট।

এক বিশেষজ্ঞ বলেন, দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছে তাদের অধিকাংশ দেশে পুনসংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির সংক্রমণ মোকাবিলা করছে। সব মিলিয়ে আমরা মনে করি না যে, আসলে স্বস্তিতে থাকার মতো অবস্থায় আছি। অনেকেই মনে করছে যে এই ভাইরাসটি কখনোই নির্মূল করতে পারবো না, এর সঙ্গে একটা সহঅবস্থানে যেতে হবে। অতএত কৌশলগত পরিবর্তন করতে হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বলছে সবার আগের দরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, টিকা গ্রহণ করতে হবে এবং এটি নিয়েও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যারা টিকা গ্রহণ করেননি বা টিকা গ্রহণ করার উদ্যোগ নেননি বা বয়স হয়নি বা অপেক্ষমান আছেন তাদেরকেও মাস্ক পরতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, এটির কোনোভাবেই শিথিলতার পরিচয় দেওয়া যাবে না।
তবে সংক্রমণ ও প্রাণহানি কমাতে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমেও আরো গতি আনার কথা বলছে উভয়পক্ষ।
এদিকে মহামারি করোনার ধাক্কা সামলাতে হিমশিম অবস্থা সারা বিশ্ব। করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের কাছে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোও ধরাশায়ী। পৃথিবীজুড়ে টিকা কার্যক্রম চললেও থামছে না সংক্রমণ ও মৃত্যুহার।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন আরও ৭ হাজার ৪২৫ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৪ জন।

এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৩২৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২১ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ কোটি ৪০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৪০ জন।

এর আগে রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন আরও ৮ হাজার ৬৬৫ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৮৯ জন।
আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, তুরস্ক সপ্তম, আর্জেন্টিনা অষ্টম, ইরান নবম ও কলম্বিয়া দশম স্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা