বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:০১
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

সেনাবাহিনী দিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার দাবি

অনলাইন ডেস্ক::

দেশে চলমান লকডাউন শেষে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যত সিট তত যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, এর আগে দুই দফা লকডাউনের পর গণপরিবহন চালু করা হলেও সিংহভাগ গণপরিবহন যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেনি। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া পরিশোধ করেও অধিকাংশ গণপরিবহনে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী বহন করা হয়েছে।

মহাসচিব বলেন, ৯০ শতাংশের বেশি গণপরিবহনে যত সিট তত যাত্রী বহন করে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায় করলেও সরকার কার্যত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে এই বর্ধিত গণপরিবহন ভাড়া করোনা সংকটে কর্মহীন, আয়-রোজগারহীন দিশেহারা সাধারণ মানুষের মরার ওপর খাড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছিল।

মোজাম্মেল হক বলেন, এমন বাস্তবতা সামনে রেখে এবার গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হলে গণপরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণও বেড়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, গণপরিবহনে বেশিরভাগ সময় চালক-হেলপার দুজনে গণপরিবহন পরিচালনার কাজে ব্যাস্ত থাকে। এ কারণে এসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমত মানা হয়না। কেননা চালক গাড়ি চালানো ও হেলপার যাত্রী উঠা-নামা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত থাকে।

ফলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ যেমন- বাসে উঠার সময় যাত্রীর হাতে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার দেয়া, মাস্কবিহীন যাত্রী উঠছে কি-না পর্যবেক্ষণ করা, কিছুক্ষণ পরপর যাত্রী উঠা-নামার হ্যান্ডেল বা হাতল স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামার পর খালি সিট স্যানিটাইজ করা, প্রতিটি বাস ছাড়ার পূর্বে সবকটি আসন স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামানোর পর সবকটি আসন পুনরায় স্যানিটাইজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

করোনার ভয়াবহ এই সংকটকালে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে জাতীয় দুর্যোগ বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা