অনলাইন ডেক্স::
প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন কেনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এটি নিয়ে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন। বলেন, আগামীতে টিকা প্রাপ্তিতে কোনো সমস্যা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভ্যাকসিনের জন্য যত টাকা দরকার দেওয়া হবে। সেই টাকা আলাদা করে রাখা হয়েছে। দেশের জনগণের এ বিষয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএম আব্দুল মোমেন
শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অবশেষে খুলতে চলেছে করোনা টিকার জট। গতরাতে ও শনিবার (০৩ জুলাই) ভোরে চীনের কাছ থেকে কেনা সিনোফার্মের ২০ লাখ টিকা এখন ঢাকায়। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া মডার্নার সাড়ে ১২ লাখ টিকাও ঢাকায় পৌঁছায় রাতে।
ভ্যাকসিন উপহার পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগস্টে ভারতের সেরাম থেকে দেশে আসতে পারে ভ্যাকসিন। ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে ১০ কোটি টিকা পাওয়া যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী। আগস্টে ভারত থেকে আসতে পারে সেরামের টিকা।
এ সময় মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ডেভিড মিলার।
ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে দুর্দান্ত সূচনা করেও টিকা নিয়ে সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। প্রায় তিন মাস পর কাটতে চলেছে সেই অচল অবস্থা।
মডার্নার টিকা সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় আর সিনোফার্মের ২ থেক ৮ ডিগ্রিতে।
শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া মডার্নার টিকা বহনকারী এমিরেটসের বিমানটি। এ টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ডেভিড মিলারসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এর ঘণ্টা খানিক পরেই চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের প্রথম দফার প্রথম চালান পৌঁছায় বিমানবন্দরে।