অনলাইন ডেক্স::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যত টাকাই লাগুক দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থা করা হবে। বৈশ্বিক বাজারে চড়া দামে কিনলেও দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেবে সরকার।
শনিবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন সংসদ নেতা। এ সময় টিকা প্রয়োগ শেষ হলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথাও জানান সরকারপ্রধান।
করোনার কারণে সীমিত পরিসরে ১২ কার্যদিবসেই শেষ হয় নতুন বছরের বাজেট পাসের আনুষ্ঠানিকতা। অধিবেশনে ৮৫ জন সংসদ সদস্য ১৫ ঘণ্টা ৩২ মিনিটের আলোচনায় চূড়ান্ত করেছেন নতুন অর্থবছরের রাষ্ট্রীয় আয়-ব্যয়ের খতিয়ান, পাস হয়েছে ৭টি বিল।
রীতি অনুযায়ী শনিবার দুপুরে অধিবেশনের সমাপনী দিনে বক্তব্য দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও নতুন বাজেট অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা পুনরুজ্জীবিত করবে। যেহেতু আবার করোনা দেখা দিয়েছে, সেহেতু আমাদের সাধ্যমতো আবার সহযোগিতা দেব। কারো খাদ্য প্রাপ্তিতে যেন সমস্যা না হয়, সে বিষয়টা অবশ্যই আমরা দেখব।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিশ্ব বাজারে চড়া দামে কিনলেও মানুষের কাছে বিনামূল্যে টিকা পৌঁছাতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মডার্না এবং সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে পৌঁছে গেছে। যেখানে যেখানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এবং আরও টিকা আমরা নিয়ে আসব। যত টাকা লাগে আমরা কিনব। এর জন্য বাজেটে আলাদা টাকাই রাখা আছে। আমরা কমপক্ষে ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। এসব টিকা আমরা অনেক টাকা দিয়ে কিনলেও সব টিকাই বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
কবে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংসদে উত্থাপিত এ প্রশ্নেরও উত্তর দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, একটু ক্ষতি হচ্ছে কিন্তু টিকা দেওয়ার পরেই আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেব। আমরা জেনে শুনে লেখাপড়া শিখতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কিনা সে বিষয়টা বিবেচনা করবেন বলে আশা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দলই গণতন্ত্র ও নিপীড়িত মানুষের জন্য কাজ করেনি। লকডাউনেও সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন দেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে দিচ্ছে বলেও বিশদ তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।