বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:০২
শিরোনাম :
নেছারাবাদ সাগরকান্দার কুখ্যাত ডাকাত রুবেল খুলনায় আটক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ‍্যে নেছারাবাদ উপজেলায় মতবিনিময় সভা বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবসের কর্মসূচি প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রয় নিল ১৪ মিয়ানমার সেনা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি: শেখ ফজলে শামস পরশ বিআইডব্লিউটিএ’র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সার্ভিসের সাতটি ইউনিট অগ্রণী ব্যাংক ৯৭৫ তম রায়পুরা শাখার উদ্বোধন আসন্ন রায়পুরা পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে মোঃ বাহাউদ্দীনকে কাউন্সিলর করতে চান “ওয়ার্ডবাসী”

বরিশালের এসএসসির ফরম পূরণে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগে ২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

বিজলী ডেক্স::

এসএসসির ফরম পূরণে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগে ২২টি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বরিশালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এরমধ্যে একটি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে বাড়তি অর্থ ফেরত এবং ধার্য টাকার রশিদ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন। তিনি বলেন, সদর উপজেলার চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ এসেছিল। সেখানে তদন্তে গিয়ে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আয়নাল হোসেনকে আদায়কৃত বাড়তি অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ফরম পূরণে ১৯৭০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ১৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আমরা অভিযোগ পাই কয়েকটি স্কুল নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি টাকা নিয়েছে। এর বাইরে রশিদবিহীন ফরম পূরণের জন্য অর্থ আদায় করেছে কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

আমাদের কাছে প্রায় ২২টি অভিযোগ লিখিত ও টেলিফোনে এসেছে। আমরা সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। কোথাও কোনো প্রমাণ পেলে তাদের সতর্ক করা হচ্ছে এবং বাড়তি টাকা ফেরত দিতে বলা হচ্ছে।

এটি মূলত নিয়মিত কাজের একটি অংশ। কারণ আমরা সতর্ক না করলে হয়তো কেউ অবৈধ সুবিধা নিতে পারে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে চরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়নাল হোসেন জানিয়েছেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে ফরম পূরণের জন্য নিয়েছি। বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে সামান্য কিছু বেশি রাখা হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমাকে টেলিফোনে নির্দেশ দিয়েছেন রশিদ দিয়ে দেওয়ার জন্য। দু-একদিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের রশিদ পৌঁছে দেওয়া হবে।

শিক্ষা বোর্ডের উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক জামাল হোসেন বলেন, যেসব অভিযোগ এখন পর্যন্ত পেয়েছি সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়ম বর্হিভূত কিছু করলে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা