মুলাদী প্রতিনিধি::
মুলাদীতে প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিরোধীয় সম্পত্তিতে জোর পূর্বক দোকান ঘর উত্তলন করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। জানাগেছে, মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের রাগুয়া কাজিরচর গ্রামের এসকেন্দার আলী শরীফের সাথে দীর্ঘদিন থেকে একই এলাকার সহিদ তফাদারের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই সুত্রধরে এসকেন্দার আলী শরীফ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি এম.পি মামলা নং-১৮/২০২১ দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গত ০৭/১১/২০২১ইং তারিখ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশ প্রদান করেন যে, বিরোধীয় সম্পত্তিতে বাদীদের নিরষ্কুশ ভোগদখল না থাকায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থাপিত প্রসেডিং চুরান্ত করা গেল না, পক্ষদ্বয়কে তাদের স্ব-স্ব ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ন ভোগ দখলের আদেশ দিয়া মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়। মামলার আদেশের প্রেক্ষিতে মুলাদী থানার এস আই আব্দুল কাইয়ুম ২ডিসেম্বর একটি অবহিত করন পত্র বাদী ও বিবাদীকে প্রেরন করেন। বাদী এসকেন্দার আলী শরীফ অভিযোগ করেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশের পর বিবাদী সহিদ তফাদার তার লোকজন নিয়া এসকেন্দার আলী শরীফের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে গতকাল ২ডিসেম্বর দুপুরে জোরপূর্বক একটি দোকানঘর উত্তলন করে। তিনি আরও বলেন, বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকেই আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা চালিয়ে আসছিল। জোরপূর্বক দোকানঘর উত্তলনের পর অসহায় এসকেন্দার আলী শরীফ অসুস্থ অবস্থায় সমাজের বিভিন্ন লোকেরকাছে ছোটাছুটি করে কোন উপায় না পেয়ে মুলাদী থানায় এসে বিষয়টি থানা পুলিশ ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহদয়কে জানান। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহদয় প্রতিপক্ষের লোকজনকে ডেকে দ্রæত দোকান সড়িয়ে নেয়ার মৌখিক নির্দেশ প্রদান করলেও দুইদিন পেরিয়ে গেলেও সড়ানো হয়নি অবৈধভাবে উত্তলন করা দোকানঘরটি। এব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি দোকানঘর সড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে, তারপরেও কেন দোকানঘর সড়ানো হয়নি তা আমি দেখছি।