অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তান ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড গড়েছে। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দেশটিতে সাত হাজার ৬৭৮ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। দেশটিতে এর আগে কখনো এতো মানুষ মহামারিতে আক্রান্ত হননি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা সংক্রমণ। এর আগে ২০২০ সালের ১৩ জুন সেখানে ছয় হাজার ৮২৫ জনের করোনা হয়েছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে যখন করোনায় পজিটিভ হওয়ার হার বেড়ে ১২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, তখন সেখানে ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) বলছে, পাকিস্তানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৭ হাজারের বেশি। ৯৬১ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উপাত্ত বলছে, দেশটিতে এখন সবচেয়ে বেশি করোনার প্রাদুর্ভাব করাচিতে, ৪৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এরপর মুজাফফরাবাদে ২৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও ইসলামাবাদে ১৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
অতিসংক্রামক ওমিক্রনের কারণে পাকিস্তানে করোনার পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়েছে। যে কারণে নাগরিকদের টিকা নিতে ও মাস্ক পরতে আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওমিক্রন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় চলতি মাসে আমরা করোনার প্রকোপ ব্যাপকহারে বাড়তে দেখছি। এ সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির ভিতরে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া যেসব শহরে করোনার প্রকোপ ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, সেসব এলাকায় বিয়ের আসর থেকে শুরু করে বড় ধরনের জমায়েতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে পাকিস্তানে বুস্টার ডোজ বিতরণ শুরু হয়েছে। যাদের বয়স ত্রিশ বছরের বেশি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নেই, বুস্টার ডোজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
হেলথ সার্ভিসেস অ্যাকাডেমির উপাচার্য ডা. শাহজাদ আলী খান বলেন, ওমিক্রনের কারণে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। মনে হচ্ছে, অতিসংক্রামক ভাইরাসটি পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এবং আবহাওয়া ও বাতাসে দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে পারে।