আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::
প্রতিবছর রমজানে সৌদি আরবের মক্কায় বায়তুল্লাহ শরিফ বা মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে সমাগম হয় লাখো মুসল্লির। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মক্কার কাবাঘরে প্রতিদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতারের আয়োজন করা হয়।
লাখো মুসল্লির পদচারণায় পূর্ণ পবিত্র কাবাচত্বর। মসজিদুল হারামে ইফতার করার জন্য প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসরের নামাজের আগে থেকেই সমবেত হতে থাকেন মুসল্লিরা। প্রায় ৯০টি গেট দিয়ে প্রবেশ করেন তারা। বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জন্য আয়োজন করা হয় ইফতার।
সময়ের সঙ্গে সৌদি আরবেও পাল্টে গেছে খাদ্যাভ্যাস। সেই সঙ্গে ইফতারও। বর্তমানে মসজিদুল হারামে প্রতিদিন ইফতারে রোজাদারদের দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের মসলাদার খাবার। যার মধ্যে রয়েছে স্যুপ, শরবত, কাবাব, রুটি, দই, খেজুর ও জমজমের পানি।
ওমরাহ মৌসুমের শুরু থেকে বিভিন্ন দেশের প্রায় অর্ধকোটি মানুষ ইতোমধ্যে সৌদি আরব গেছেন। তবে, সৌদির স্থানীয়রা রমজানের মাঝামাঝি থেকে ওমরাহ আদায়ে মনোযোগী হন। আর শেষ ১০ দিন হারামাইন শরিফে ইতিকাফের জন্য মিলিত হন।
চলতি বছর পবিত্র হজের দেশভিত্তিক কোটা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। এতে চতুর্থ সর্বোচ্চ সংখ্যা বাংলাদেশের। এবার বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নিতে পারবেন ৫৭ হাজার ৫৮৫ মুসল্লি।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করতে যাবেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের নাম।
গেল ১০ এপ্রিল সৌদি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে ১০ লাখ মুসল্লি এবার হজ পালন করতে পারবেন। স্বাভাবিক মৌসুমে ২৫ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নিতে পারেন। এ থেকে প্রতিবছর ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হতো উপসাগরীয় দেশটির।