ডেক্স রিপোর্ট::
বরিশাল বন্দর থানাধীন সদর উপজেলারচর আইচা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গর্ভবতী নারীসহ দুইজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর চরকাউয়া
আহতরা হলো ওই এলাকার মনিরুল ইসলাম ও তার বোন ওমর আলীর স্ত্রী শিলা বেগম। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় শিলাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং মনিরুল প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
আহত সূত্রে জানা যায়,চর কাউয়ার চর আইচা গ্রামের স্থানীয় জাহাঙ্গীর মুন্সি ঐ গ্রামের কেরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মামুন হুজুর এক নারীর সাথে পরকীয় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকার মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে জাহাঙ্গীর নিজের সুবিধার জন্য মামুন হুজুরের পক্ষ নিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করে।
কিছুদিন পর বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। জাহাঙ্গীর মুন্সি কে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে এলাকার থেকে পালিয়ে যায় মামুন হুজুর।
এমন ঘটনা রটিয়ে পড়লে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর ওই মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মনিরুল ইসলামকে দোষারোপ করে। জাহাঙ্গীর মুন্সির দাবি মনিরুল টাকা পয়সার বিষয়টা এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিয়েছে।
অথচ মাওলানা মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানান।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মুন্সি তার ছেলে আসিফ, রাকিব, সাজিন সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন লাঠি সোটা নিয়ে মাওলানা মনিরুল ইসলামের প্রতিরোধ করে হামলা চালায়।
নিজের দোষ ঢাকতে মাওলানা মনিরুল ইসলামকে মারধর শুরু করে জাহাঙ্গীর মুন্সি তার ছেলে আসিফ, রাকিব, সাজিন সহ ৮-১০ জন লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে মাওলানা মনিরুল ইসলামকে। এদিকে মারধরের এক পর্যায়ে মাওলানা মনিরুল ইসলাম ডাক চিৎকার দিলে তার বোন শিলা বেগম ছুটে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। এ সময় শীলাকে তলপেটে লাথি মারায় গুরুতর আহত হয় শিলা বেগম। আহত সুত্র আরো জ়ানায় শিলা বেগম দুই মাসের গর্ভবতী।পেটে লাথি মারায় গুরত্বর আহত হয় শিলা বেগম। বর্তমানে আহত শিলা বেগম শেবাচিমে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।