বরিশাল (মুলাদী)::
জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) নিয়মিত প্রচারের অংশ হিসেবে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার সকালে মুলাদী গফুর মল্লিক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তারিকুল ইসলাম খান মিঠু প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর ১০ উদ্যোগের সুবিধা গ্রামের প্রান্তিকজনগোষ্ঠি ভোগ করছে বলেই মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমে যাচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আয়বৃদ্ধিমূলক কাজ করছে। মানুষ শান্তিতে বাস করছে। তিনি আরও বলেন, সরকার বয়স্ক ভাতা, শিক্ষা ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা প্রদান করছে। শিক্ষা ভাতা প্রদানের ফলে অনেক মেয়েরা পড়ালেখা শেষ করতে পারছেন। এখন মা-বাবা মেয়ের বাল্য বিয়ের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন না। তারা মেয়ের পড়ালেখা শেষ করে চাকুরি করাতে চায়। এই উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা প্রশানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টার ফসল।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুলাদী গফুর মল্লিক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মোঃ রিয়াদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী বাল্যবিবাহ রোধে প্রধান উপায় হল নারীদের শিক্ষা অর্জন করা। বিবাহের ন্যূনতম বয়স সংক্রান্ত আইন কার্যকরণ এবং অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত করা। এখন সময় এসেছে বাল্যবিবাহ বন্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত৷
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা৷ ইউনিসেফের শিশু ও নারী বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪% নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের আগে ৷ বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক ৷ বাল্যবিবাহের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের আশংকা তৈরি হওয়া ছাড়াও নানা পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়৷