শনিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৫
শিরোনাম :
বছরে পর বছর ধরে নষ্ট পানির পাম্পের ভাউচার বিল হাতিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলররা ভুয়া আইডি কার্ড ও জালজালিয়াতি করে সরকারি চাকরিতে বহাল তবিয়তে শওকত ! সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই মাদকের ব্যাপকতা রোধ করা সম্ভব ; খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান শেখ হাসিনাসহ দায়ের হওয়া মামালায় আমির হোসেন আমু ৬ দিনের রিমান্ডে চাঁদাবাজি মামলায় চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন গ্রেপ্তার ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন বাংলাদেশের ; পররাষ্ট্র সচিব বিদেশি পিস্তলসহ পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা আটক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য; আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত; আহত পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে ২ যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বাড়ির কর আদায়ে পুলিশের ডাটাবেজ ব্যবহার করবে এনবিআর

ডেক্স রিপোর্টঃ

নতুন করদাতা সংগ্রহ বা রাজধানীসহ শহরের বাড়ির মালিকদের করের আওতায় আনার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুলিশের ডাটাবেজ ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করছে।

বাসস জানায়, অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশের তৈরি করা এই ডাটাবেজে বাড়ির মালিকের তথ্য রয়েছে।

ইতোমধ্যে রাজধানীসহ আরও কয়েকটি বড় শহরে পুলিশ এ ধরনের ডাটাবেজ তৈরি করেছে। এতে অন্যান্য তথ্যের পাশাপাশি বাড়ির মালিক, ভবন মালিক, ভাড়াটিয়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান মালিকের তথ্য রয়েছে। অর্থাৎ কারা বাড়ির মালিক সেই তথ্য এই ডাটাবেজ থেকে সহজে নিতে পারবে কর কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা বাসসকে বলেন, “আয়কর অধ্যাদেশের ১৮৪ ধারার ই উপধারায় বলা আছে- কর কর্তৃপক্ষ সরকারের অন্য কোনো সংস্থার কাছে সহায়তা চাইলে, তারা সেই সহায়তা প্রদান করবে।”
“সুতরাং বাড়ির মালিকের তথ্য পেতে আমরা পুলিশের ডাটাবেজ ব্যবহার করতে পারি। এখান থেকে আমরা, কারা বাড়ির মালিক সেই তথ্য সহজে পেয়ে যাব” যোগ করেন তিনি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, শহরের বাড়ির মালিকদের করের আওতায় আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যত খুব বেশি ফল আসেনি। ঢাকাসহ অন্যান্য বড় শহরের অধিকাংশ বাড়ির মালিক এখনো করজালের বাইরে রয়ে গেছে।

তার মতে, পুলিশের ডাটাবেজ ব্যবহার করলে বাড়ির মালিকদের শনাক্তকরণ যেমন সহজ হবে, তেমনি তাদেরকে করজালের আওতায় আনা যাবে।

এনবিআরের এই কর্মকর্তা মনে করেন, বড় বড় শহরের অধিকাংশ বাড়ির মালিক অবশ্যই করযোগ্য। তাই, পুলিশের ডাটাবেজ অনুযায়ী বাড়ির মালিকদের মধ্যে যারা করযোগ্য তাদেরকে যদি করের আওতায় আনা যায়, তাহলে অল্প সময়ের ব্যবধানে করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত হবে।

অবশ্য নতুন করদাতা সংগ্রহে পুলিশের ডাটাবেজ ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করলেও এনবিআর এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বলে তিনি জানান।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, অপরাধী শনাক্তকরণে ঢাকা মহানগরীসহ আরও কয়েকটি বড় শহরে নাগরিকদের তথ্য নিয়ে পুলিশ ডাটাবেজ তৈরি করেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শহরেও ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা