শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৫৫
শিরোনাম :
বিয়ের পরিচয় গোপন করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের সর্বনাশ করাই একমাত্র নেশা! সাংবাদিক খান তুহিনকে মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা ও পুলিশ কনস্টেবল’র বিরুদ্ধে মামলা উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপোর সাবেক ম্যানেজারের ব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়ম ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী হঠাৎ রাজধানীর আগারগাঁও-মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রনী ; জরিমানা অর্ধলাখ টাকা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী: শহীদদের স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে কমতে পারে বৃষ্টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৮৭৫- আহত ৩০ হাজারের বেশি: এইচআরএসএস

মানবসেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বরিশালের সিভিল সার্জন

মানবসেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন বরিশালের সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন। সার্বক্ষণিক জনগনের জন্য প্রচার প্রচারনা চালানো থেকে শুরু করে সকল কাজেই জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কথা ভাবেন এই চিকিৎসক প্রধান। সরকারি সকল কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার নিজস্ব প্রোফাইলে চালিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক সচেতনতামূলক কার্যক্রম। সকলকে দিচ্ছেন করোনা মোকাবিলার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা।

তারই দৃষ্টান্ত স্বরূপ ৪ মে করোনা সন্দেহে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক এতিম রোগীর সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এই চিকিৎসক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীর ভাই জানান, গত ২ মে রাতে জ্বর ও শ্বাস কষ্ট অনুভব করে তার ছোট বোন ইরা(ছদ্মনাম)। কিন্তু গলা ব্যাথা কাশিঁ না থাকায় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় নি রোগীর স্বজনরা। কিন্তু হঠাৎ করেই ৩ মে গভীর রাতে শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পেলে তাকে নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নিতে চাইলে তাদের আইসিইউ না থাকায় রোগীকে ভর্তিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে সকল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে রোগীর ভাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বরিশালের সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবগত করলে তাত্ক্ষণিক জবাব দেন এই চিকিৎসক প্রধান। এ সময়ে তিনি তাকে বিলম্ব না করে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে বলেন। ৪ মে সকাল সোয়া ১২ টায় রোগীকে নিয়ে করোনা ইউনিট এ গেলে তাকে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনের ব্যবস্থ করা হয়। পরবর্তীতে রোগীকে একা রেখে বাসায় আসার পর পরই রোগীর বাসাকে লকডাউন করে দেয় স্থানীয় থানা পুলিশ।

এ সময়ে তাদেরকে রোগীর কাছে কেউ নেই জানানো হলেও বাসা থেকে বের হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দেন নি থানার পরিদর্শক। এ সময়ে রোগীর ভাই সমস্ত ঘটনা ও রোগীর একাকিত্বের কথা সিভিল সার্জনকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর খোঁজ খবর নেয়া থেকে শুরু করে তার চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করা সহ ফেইসবুকে প্রায় ৬ ঘন্টা রোগীর পরিবারকে সান্ত্বনা প্রদান করেন এই চিকিৎসক প্রধান।

এ সময়ে রোগীর ভাই আরও জানান, অপরিচিত হওয়ার পরেও আমার মত সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা ফেইসবুকে ম্যাসেজ আদান প্রদান করে আমাদেরকে সান্তনা দেন তিনি যা অকল্পনীয়।

সামান্য একজন রোগীর প্রতি একজন সিভিল সার্জনের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্তব্যরত ব্যাক্তির এমন মহানুভবতায় খুশি রোগীর স্বজনরা।

রোগীর ফুফু জানান, আমার ভাতিজীর প্রতি সিভিল সার্জন স্যারের এমন গুরুত্ব প্রদানে আমরা অনেক খুশি। এসময়ে তিনি আরও জানান দেশে আজও ভালো মানুষ আছেন তার দৃষ্টান্ত বরিশালের সিভিল সার্জন স্যার।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা