শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৩১
শিরোনাম :

১০ জুন সীমিত আকারে বাজেট অধিবেশন

বিজলী ডেক্স:

করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে আগামী ১০ জুন বসছে সংসদের অষ্টম অধিবেশন। এই অধিবেশনে ১১ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ জুন বিকাল ৫টায় অধিবেশন আহ্বান করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। বাজেট অধিবেশন ঘিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অনেকগুলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া অধিবেশন চলাকালে মন্ত্রী-এমপি এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হলে তার জন্য রাজধানীর বড় তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বাজেট অধিবেশনে সাধারণ দীর্ঘ হয়। অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাবের পর তা নিয়ে পুরো অধিবেশন জুড়ে আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। গত বছর বাজেট অধিবেশন ২১ কার্যদিবসের ছিল। দুই মাসের ‘সাধারণ ছুটি’ শেষে অফিস-আদালত খুললেও সংসদ সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। কোনো সংসদ সদস্য বা সংসদের কর্মকর্তা দর্শনার্থীদের সংসদে ঢোকার পাস দিতে পারবেন না। ঢুকতে পারবেন না গণমাধ্যমকর্মীরাও।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কেবলমাত্র দিনের কার্যক্রমে অপরিহার্য আইনপ্রণেতাদের নিয়েই এবারের বাজেট অধিবেশন চালানোর পরিকল্পনা করছে জাতীয় সংসদ। আগামী ১০ জুন বিকেল পাঁচটায় বসতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশন। এই সংসদের সদস্য ঢাকা-৫ আসনের হাবিবুর রহমান মোল্লা স¤প্রতি মারা গেছেন। তাই রেওয়াজ অনুযায়ী ওই দিন অধিবেশন শুরুর পরই মুলতবি হবে। পরে দিন ১১জুন বিকাল ৩টায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত একটানা অধিবেশন চলবে বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তাছাড়া মহামারীর কারণে দুই মাসের বেশি সময় ছুটি থাকায় মন্ত্রণালয়গুলো থেকে সংসদ সদস্যদের করা প্রশ্নের উত্তর করা সম্ভব হবে না বলে এবারের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বও থাকছে না।

স্পিকার বলেন, অধিবেশনে বয়স্ক সংসদ সদস্যদের অংশ না নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে যাতে বসতে পারে সেজন্য ৮০-৯০ জন এমপি নিয়ে প্রতিদিন সংসদ চালানো হবে। বিধি অনুযায়ী ৩৫০ সংসদ সদস্যের মধ্যে সংসদে বৈঠকের কোরামের জন্য ৬০ জনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ ছুটি বাতিল হলেও এই অধিবেশন যথা সম্ভব সংক্ষিপ্ত হবে। বাজেট সংক্রান্ত কাজের বাইরে কিছু করা হবে না। তাছাড়া এই অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বও থাকছে না।

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, বাজেট অধিবেশনের ব্যাপারে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে যার যেদিন সুনির্দিষ্ট বিষয়ে কার্যক্রম থাকবে সেদিন তার উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। অন্যদের নিরুৎসাহিত করা হবে। তবে এ বিষয়ে প্রতিদিন অংশগ্রহণকারী সংসদ সদস্যদের তালিকা প্রণয়নসহ সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে ১ জুনের পর সব হুইপকে নিয়ে প্রধান হুইপ বৈঠকে বসবেন বলে তিনি জানান।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা