শনিবার, ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৪৮
শিরোনাম :
পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত মেহেরপুরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গাংনী বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালানায়- কশাইকে আর্থিক জরিমান তালতলীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বিয়ে করলেন ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে ৬ গাড়ি, আহত ২৫

দেড় হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে জার্মানির ভ্যাকসিন

অনলাইন ডেস্ক।।

জার্মানির বায়োটেক প্রতিষ্ঠান কিউর ভ্যাক-এর করোনা ভ্যাকসিন ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ প্রস্তুত হতে পারে। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১০ থেকে ১৫ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। বুধবার দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ফ্রানৎস-ভেরনার হাস।

এরই মধ্যে কিউর ভ্যাক কিছু বিষয় নিশ্চিত করেছে। তাদের টিকায় স্বল্পমূল্যের কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে। ভ্যাকসিনের দামেও এর প্রতিফলন ঘটবে। ফ্রানৎস বলেন, ‘আমার ধারণা এটি ১০ থেকে ১৫ ইউরোর মধ্যেই থাকবে।’ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে ভ্যাকসিনের অগ্রিম ক্রয় সংক্রান্ত আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি। তবে নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম জানাতে চাননি তিনি। বিশ্বের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রথম সারিতে আছে তার মধ্যে কিউর ভ্যাকও রয়েছে। তাদের এই উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতায় আছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান জিএসকে ও কাতারের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল। সহযোগিতা দিচ্ছে জার্মানির সরকারও। এর অংশ হিসেবে গত জুনে তাদের ৩০ কোটি ডলার সমমূল্যের শেয়ার কিনেছে। ভ্যাকসিন তৈরিতে নতুন আরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে কিউর ভ্যাক। ফ্রানৎস বলেন, ‘আমরা এমন একটি ভাইরাস নিয়ে কাজ করছি যার সবগুলো উপাদান সম্পর্কে এখনো কেউ জানে না। কিভাবে ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, কতদিন (প্রতিষেধক) কাজ করবে তা-ও নিশ্চিত নয়। এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস। তারপরও আরএনএ দিয়ে এই সমস্যাগুলো কিছুটা মোকাবিলা করা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে দ্রæত ভ্যাকসিন তৈরি ও পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে।’

কিউর ভ্যাক বলছে, তাদের ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে সেপ্টেম্বর নাগাদ। এর পরপরই মানুষের শরীরে বড় ধরনের পরীক্ষা চালানোর উদ্যোগ নিবে। কিউর ভ্যাকের কাছ থেকে ২২ কোটি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন নিতে পারে ইউরোপীয় কমিশন। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে গতকাল আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকিডেস। ‘করোনা ভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য আজ আমরা ইউরোপীয় কোম্পানি কিউর ভ্যাক-এর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছি,’ বলেন তিনি। এই বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পরবর্তী চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা শুরু করবে। রয়টার্স জানিয়েছে, এর মাধ্যমে ২৭ টি দেশের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাইছে ইইউ। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা