মঙ্গলবার, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:০৫
শিরোনাম :
পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত মেহেরপুরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গাংনী বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালানায়- কশাইকে আর্থিক জরিমান তালতলীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বিয়ে করলেন ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে ৬ গাড়ি, আহত ২৫

কারাগারের বন্দিদের হত্যা করে ফুলবাগানের ‘সার বানায়’ উত্তর কোরিয়ায়

  অনলাইন ডেস্ক ::

উত্তর কোরিয়ায় একটি কারাগারের বন্দিদের মৃত্যুর পর মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে সেখান থেকে সার তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সার ফুল চাষে ব্যবহার হচ্ছে, এমন তথ্য ফাঁস করেছে ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক রাইটস ইন নর্থ কোরিয়া -এইচআরএনকে।

এইচআরএনকে- এর প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, দ্য চংসান ১১ নম্বর নামের ক্যাম্পটিতে বন্দিদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে। কয়েকটি স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, সেখানকার বন্দিদের জন্য একটি ক্যাম্প রয়েছে। এটি রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে ৩০ মাইল পূর্বে অবস্থিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারে কঠোর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের ফলে প্রতিবছর অত্যন্ত ২ হাজার বন্দি মারা যাচ্ছেন অথবা

ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে।কমিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইন নর্থ কোরিয়া একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নির্দেশে দেশটি থেকে পালিয়ে যেতে চাওয়া ব্যক্তিদের আটকে রাখা হচ্ছে। পরে তাদের জোরপূর্বক শূকর পালনে বাধ্য করানো হচ্ছে। ওই কয়েদিদের মৃত্যু হলে তাদের দেহ থেকে তৈরি করা হচ্ছে জৈব সার।

পালিয়ে আশা এক কারাবন্দি জানান, মাটিচাপা দেওয়া মরদেহগুলো প্রাকৃতিক সারের মতো কাজ করে। সেই সার দিয়েই লাল রংয়ের ‘আজালিয়া’ ফুল চাষ করা হয়।তার মতো পালিয়ে আসা আরো একজনও ওই ক্যাম্পের সম্পর্কে ভয়ংকর তথ্য দেন। বলেন, ‘ক্যাম্প এবং আশপাশে লাশ দাফনের মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আমার কাজ ছিল, মৃতদেহগুলি ‘ফুলের পাহাড়ে’ নিয়ে যাওয়া। সেখানে পুরোটাই গণকবর। যেখানে ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার লাশ দাফন করা হয়েছে।’

কমিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইন নর্থ কোরিয়ার জ্যেষ্ঠ ছবি বিশ্লেষক জোসেফ এস বার্মুডেজ জুনিয়র বলেন, দ্য চংসান ১১ নম্বর ক্যাম্পটি অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত। এখানকার কারাবন্দিদের সরাসরি মাংস, মাছ এবং লবণ উৎপাদনে কাজে লাগানো হচ্ছে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা