মুলাদী প্রতিনিধিঃ
খোলা বাজারে জালের দোকান থাকার কারণে অবৈধ জাল ব্যবহারে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করে, মৎস্য সংরক্ষন আইন মৎস, সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ বেহুদী জাল, মশারী জাল, পাই জাল, চরগড়া জাল, কারেন্ট জাল এবং খুটি জাল সহ অন্যান্য অবৈধ মৎস্য আহরনকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করে সারা বছর নিষিদ্ধ ও দন্ডন্ডীয় অপরাধ থাকা স্বত্বেও অসাধু মৎস্যজীবি ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা নষ্ট করছে দেশের সম্পদ। মৎস্য অভিযানের বিশেষ কম্বিং অপারেশনে গতকাল সকাল ৯টায় মুলাদী সিনেমা হলের সামনে থেকে হিজলা উপজেলার দুই মৎস্য ব্যবসায়ীকে প্রায় ১০০ কেজি জাটকা সহ আটক করে মুলাদী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার সুব্রত গোস্বামী এবং সহকারী মৎস্য অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। বেলা ১২ টায় মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভা দাস মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে হিজলা উপজেলার দুই মৎস্য ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। বেলা সাড়ে ১২ টায় মুলাদী উপজেলা মৎস্য অফিসের সামনে জাটকা ইলিশ মুলাদী পৌসসভা বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরন করা হয়েছে। জাটকা বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সুব্রত গোস্বামী, মুলাদী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামরুল আহসান, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ মুরাদ, উপজেলা সহকারী মৎস্য অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী বলেন বাজারে অবৈধ জালের দোকান থাকার কারণে মৎস্য জীবি ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে পরছে, আমরা জীবনের ঝকি নিয়ে অভিযান করে সকল প্রকার জাল নদী থেকে উদ্ধার করে জেল জরিমানা দিলে আবার সেই জাল বাজার থেকে ক্রয় করে দেশের সম্পদ জাটকা ইলিশ সহ সকল প্রকার মাছ নিধন করছে, তাই দ্রæত অবৈধ জালের দোকান বন্ধ না করা হলে দেশের সম্পদ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পরবে।