অনলাইন ডেস্ক::
করোনা সংক্রমণরোধে ইসরাইলি সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের কারণে দখলকৃত জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের ভেতরে গুটি কয়েক মুসল্লিকে জুমার নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনিদের হারাম আল শরিফে জুমার নামাজ আদায়ে প্রবেশই করতে দেয়নি ইসরাইলি পুলিশ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধের অজুহাতে ওল্ড সিটির প্রবেশ পথে স্থাপন করা চৌকিতে তাদের আটকে দেওয়া হয়।
যারা ওল্ড সিটিতে বসবাস করে শুধু তাদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
মসজিদে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ফিলিস্তিনিরা ওল্ড সিটির ওয়ালের পাশে শুক্রবারের নামাজ আদায় করেন।
শুক্রবারে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিন্দা জানিয়েছেন আল আকসার ইমাম ইউসুফ আবু স্নেইনা।
ইসরাইলের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। দলের মুখপাত্র হাজিম কাসিম বলেন, জেরুজালেম থেকে আরবদের অস্তিত্ব মুছে দিয়ে ইহুদিবাদীদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে তেল আবিব এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
ইসলামি জিহাদের মুখপাত্র দাউদ শিহাব বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য করোনা ভাইরাসকে অজুহাত হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে ইসরাইল।
৭ জানুয়ারি ইসরাইল সরকার দুই সপ্তাহের জন্য জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করে।
১৯৬৭ সালে আরব ইসরাইল যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরাইল। ১৯৮০ সালে পুরো এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে ইহুদিবাদীরা। পূর্ব জেরুজালেমকে শাশ্বত এবং অবিভক্ত রাজধানী আখ্যা দিয়ে নিজে নিজেই ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় তারা। তাদের এ পদক্ষেপ স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
মক্কা, মদিনার পর মুসলমানদের কাছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থাপনা আল আকসা। ইহুদিরা এটাকে তাদের দুটি টেম্পল মাউন্টের একটি বলে দাবি করে।