অনলাইন ডেস্ক::
দীর্ঘ ৪ মাস ধরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে দেশীয় পেঁয়াজ। যদিও ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বাজার অস্থির হয়ে দাম একশোতে ঠেকে। তবে ধীরে ধীরে নানা জেলার পেঁয়াজ লাগাম টেনে স্থির করে বাজার। এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকার নিচে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন ট্রাক ট্রাকে আসছে দেশীয় পেঁয়াজ। আড়তগুলোতে ভরপুর এ পেঁয়াজ। মেহেরপুর, পাবনা, রাজশাহী, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়াসহ নানা জেলার বেপারিরা দল বেঁধে পেঁয়াজ আনছেন। আবার ফিরে যাচ্ছেন ভালো দাম নিয়ে।
তারা বলছেন, কৃষকের ঘরে প্রচুর পেঁয়াজ মওজুদ থাকায় নির্ভর করতে হবে না অন্য দেশের উপর।
বেপারিরা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আরো দুমাস না আসলেও কোন সংকট হবে না। আমাদের কৃষকরা এবার অনেক পেঁয়াজ আবাদ করেছেন।
ব্যবসায়ীদের নজরও এখন দেশীয় পেঁয়াজে। মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে।
আবদুর রহিম নামে এক বিক্রেতা বলেন, এ বছর পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ২৪-২৫ টাকায়। ফরিদপুরে ২৬, মেহেরপুরে ২৪ টাকায় করছি।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, দেশীয় কৃষকদের প্রণোদনার পাশাপাশি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে উল্টো রপ্তানি করা যাবে পেঁয়াজ।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী আড়ৎদার সমিতি সহ-সভাপতি আবছার উদ্দিন বলেন, দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও ন্যায্যমূল্যের অভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন কমে গেছে। কৃষকদের প্রণোদনাসহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিলে দেশে পেঁয়াজের আবাদ বাড়বে।
দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। এবার উৎপাদনের আশা প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন।