অনলাইন ডেস্ক::
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যত্থানকে কেন্দ্র করে রাজধানী নাইপিদোতে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য ও বিভিন্ন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের তাদের বাসভবন থেকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। তবে, আটক করে কোথায় নিয়ে রাখা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে আটককৃত সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের খোলা আকাশের নিচে স্থাপিত অস্থায়ী বন্দিশালায় রাখা হয়েছে বলে একাধিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। এদিকে, গ্রেফতারের একদিন পেরিয়ে গেলেও সু চিকে কোথায় রাখা হয়েছে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সু চির দল এনএলডি’র এক সংসদ সদস্য জানান, প্রেসিডেন্ট ও স্টেট কাউন্সিল অং সান সুচিকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
তার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ‘আমাদের চিন্তিত না হতে জানানো হয়েছিল। তাকে আটকে খুবই উদ্বিগ্ন।
শুধু সু চি নন, রাজধানী নাইপিদোতেও তার ঘণিষ্ঠ আইনপ্রণেতাদেরও গৃহবন্দি রয়েছেন। এটিকে উন্মুক্ত কারগার বলে অবিহিত করেছেন দলের আরেক।
সোমবার মিয়ানমারে গণ্ডগোলের পরপরই এক চিঠিতে জনগণকে রাস্তা নেমে সামরিক অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানান সু চি। কিন্তু তার আগেই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে শক্ত অবস্থানে সেনা সদস্যরা। রাতে কারফিও থাকায় রাস্তায় নামার কোন সুযোগ নেই তার সমর্থকদের।
দেশটিতে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এনএলডি বিপুল ভোটে জয়ী হলে, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের আটক করে আগামী এক বছরের জন্য ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।