অনলাইন ডেস্ক::
চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলাদেশের রফতানি খাতকে হারাতে হবে শুল্ক সুবিধা। এ বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তি প্রতিযোগিতায় পড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিসহ শুল্ক সুবিধা বজায় রাখতে সরকারি তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
দেশের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাকশিল্প থেকে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, কানাডাসহ বিভিন্ন বাজারে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পাচ্ছে এ খাত। কিন্তু ২০২৪ সালে চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার পর সে সুবিধা থাকবে না।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা ডব্লিউটিওর এক প্রতিবেদন বলছে, সে সময় ১০-১৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিয়ে রফতানি করতে হবে পোশাক। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমার শঙ্কা ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের।
বিজিএমইএ সাবেক সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, এলডিসি হয়ে গেলে আমাদের অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা হাতছাড়া হয়ে যাবে। যেটা এখন ভিয়েতনাম পাচ্ছেন।
অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের ব্যবসায়িক খাতে খরচ অনেক বেশি। সেই সঙ্গে যদি ১০-১৮ শতাংশ শুল্ক যুক্ত হয়, তাহলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এতে আমাদের অর্ডার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় এলডিসি-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে তৎপর হওয়ার পরামর্শ তাদের।
অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে সরকার গ্যাসে ভুর্তকি দিচ্ছে। সেটা থাকলে ওয়ার্ড ট্রেডের নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের আমাদের ভুর্তকি রাখা যাবে না।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার পর্যালোচনা বলছে, এলডিসি পরবর্তী বাংলাদেশের পোশাক, চামড়াজাত জুতা, চিংড়িসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি কমতে পারে।