অনলাইন ডেস্ক::
অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ আর সহ্য করা হবে না বলে মিয়ানমারের সামরিক শাসনবিরোধী প্রতিবাদকারীদের কড়া হুশিয়ারি দিয়েছে সেনারা।
অভ্যুত্থানের সাতদিনের মাথায় বিক্ষোভ বন্ধে হিংস্র হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এমন সতর্কতা দেওয়া হলো।
১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। আর প্রতিবাদ সহ্য না করার ঘোষণা এলো আরেক সোমবার।
অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র হতে শুরু করার পর কঠোর হচ্ছে সেনারা। খবর এএফপির।
বেসামরিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দমনের কালো অধ্যায় রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর।
দীর্ঘ ৫০ বছর সামরিক শাসন প্রত্যক্ষ করা মিয়ানমারে ১০ বছরের বিরতি দিয়ে আবারও সেনা শাসন আসার পর থেকে নাগরিকরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করছেন। দিন দিন প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাত্রা বাড়ছে।
ফলে এক সপ্তাহ দমন-পীড়ন থেকে বিরত থাকার পর রাষ্ট্রীয় এমআরটিভি জানিয়েছে, সামরিক বাহিনীর বিরোধিতা করে জমায়েত অবৈধ। এর জন্য কঠোর সাজার মুখে পড়তে হবে।
এক উপস্থাপকের পড়া বিবৃতিতে বলা হয় ‘আইনানুযায়ী অবশ্যই অ্যাকশন নেওয়া হবে এবং আইনের শাসন, জননরিাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে এমন অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনজুড়ে মানুষ মিয়ানমারে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার প্রতিবাদ শুরু হলে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।
বড় শহরগুলোতে কড়া প্রতিবাদ হয়েছে এবং দেশজুড়ে বিক্ষোভকারীরা অবরোধের ডাক দিয়েছেন। বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে আগের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি ও ক্ষোভের মাত্রা অনেক বেশি ছিল।
সেখানে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ছিল ‘সামরিক একনায়ককে সরিয়ে দাও’ ‘অং সান সু চি ও অন্য গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাও’।