বুধবার, ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:২২
শিরোনাম :
সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে: দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু। দুমকিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত! কাঠালিয়ায় বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন ফরম বিতরন ও আলোচনা সভা নলছিটিতে বিশ্ব তামাক দিবস উপলক্ষে সম্পৃক্তকরণ সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা মাহাবুবুল হক নান্নুর ঈদের শুভেচ্ছা এবং ঐক্যের আহ্বান ঝালকাঠিতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচি পালিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে নলছিটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নলছিটির জুলফিকার আলি ভূট্টো কলেজের অধ্যক্ষর বিদায়ী সংবর্ধনা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত ; লাইফ সাপোর্টে আছেন পবিপ্রবিতে- দেয়াল ধসে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

বিশ্বের সবচেয়ে হতাশার দেশ, কি কি নিষেধ এই দেশে?

অনলাইন ডেস্ক::

সবার থেকে আলাদা, ভয়ংকর আর কঠোর নিয়মনীতিতে পরিপূর্ণ একটি দেশ। সর্বশেষ হতাশ একটি দেশ। বলছি উত্তর কোরিয়ার কথা। যেখানে প্রবেশ করতে হবে অনুমোদিত কোনো ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে। সীমান্ত পারি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবেন নতুন কোনো পৃথিবীতে।

দেশের বাইরে থেকে আসা মানুষের কাছে যা কিছু আছে, সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবে সেনারা। দেখবে মোবাইল ল্যাপটপের সব ছবি, দেখবে বইয়ের সব পাতা। এই দেশে নেওয়া যাবে না ধর্মীয় কোনো বই। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক বইও।

সেনারা এটাও দেখে ফোনে কি কি ছবি তোলা হয়েছে। দেশটা একরকম জেলখানা। দেশের মধ্যে অতিদারিদ্র্য আর একাকীত্ব। স্বাধীনতা, ওয়াইফাই, ফেসবুক, কোনোটাই এখানে নেই। বহির্বিশ্বের সঙ্গে নেই কোনো যোগাযোগ। খুব সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে কয়েকটি দেশের সঙ্গে। বেশির ভাগ প্রয়োজনীয় জিনিসই তৈরি হয় দেশের ভেতরে। শত চেষ্টা করেও লুকানো যাবে না যে উত্তর কোরিয়া একটি দরিদ্র দেশ। মহাসড়কে খুব কমই গাড়ি চলাচল দেখা যায়, কারণ সেখানকার মানুষের জন্য গাড়ি ব্যয়বহুল। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও দুর্বল। প্রায়ই বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ চলে যায়।

সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, খেলাধুলা কিংবা সার্কাস, সবকিছুতেই তাদের অবস্থান শক্তিশালী। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে এগুলো কোনো বিষয় না, বিষয় হলো মিসাইল, ট্যাংক, সেনাবাহিনী, ক্ষমতা। সেনাবাহিনীর কার্যক্রম দেশের সব জায়গায়। দেশটির বেশির ভাগ ভবনেই আছে নেতাদের ভাস্কর্য। এই দেশে গেলে সেটাই দেখতে হবে যেটা সরকার দেখাবে। সাধারণ কোরিয়ানদের জন্য দেশটা জেলখানা।

জেনে নেই কি কি নিষিদ্ধ এই দেশে। আন্তর্জাতিক ফোন কল এখানে নিষেধ। জিনস পেন্ট পড়া নিষেধ এই দেশে। সরকারের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে ভ্রমণে যাওয়া নিষেধ এই দেশের নাগরিকদের। মেয়েদেন জন্য ১৮টি, আর ছেলেদের জন্য ১০টি, এই হেয়ারকাটের বাইরে আর কোনোভাবে ছুল কাটাতে পারেন না এখানকার মানুষ।

কোনো পরিবারের একজন মানুষ যদি অপরাধ করে, সেক্ষেত্রে শাস্তি দেওয়া হয় পুরো পরিবার আর তিন জেনারেশনকে। দেশটিতে চরম বিদ্যুৎ সংকট, প্রতি রাতেই বিদ্যুৎ চলে যায়। মাইক্রওভেন ব্যবহার এই দেশে অবৈধ। দরিদ্র দেশ হওয়ার পরও দেশটির মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির ২০ শতাংশ ব্যয় করা হয় সেনাবাহিনীর জন্য, দেশের মানুষ না খেয়ে থাকলেও। ১৭ বছর বয়সেই বাধ্যতামূলক সব নাগরিককে ভোটাধকিার প্রয়োগ করতে হয় উত্তর কোরিয়ায়।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা