অনলাইন ডেস্ক::
করোনার কারণে যুক্তরাজ্য সরকারের দেয়া বেকার ভাতা দাবি করার ক্ষেত্রে দেশটির অন্যান্য এলাকার তুলনায় প্রধান প্রধান বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টদের সংখ্যা বেশি। অর্থাৎ বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িতরা তুলনামূলক বেশি সুবিধা দাবি করে আসছে।
সম্প্রতি দেশটির সংসদীয় কমিটির করা একটি জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই জরিপে পাওয়া গেছে, গত জানুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে যুক্তরাজ্যজুড়ে গড়ে বেকার ভাতা দাবি করা মানুষের হার ১১২ শতাংশ। অথচ বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে এই হার ঠেকেছে ১৪৫ শতাংশে।
জরিপের ফলাফলে বলা হচ্ছে, দেশটির বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে আবার লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের বিমানবন্দরগুলোতে এই হার আরও বেশি। হিথ্রো বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িতদের মধ্যে বেকার ভাতা দাবি করা মানুষের সংখ্যা ঠেকেছে ২২১ শতাংশে, ক্রাউলির নিকটবর্তী বিমানবন্দর লন্ডন গিটউইক-তে এই হার ২২৪ শতাংশ আর স্টানস্টেড বিমানবন্দরে এই হার দাঁড়িয়েছে ২২৮ শতাংশে।
সদ্য সমাপ্ত হওয়া মাস ফেব্রুয়ারির শুরু দিকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে কর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানোর একটি উদ্যোগ নেয়। সে সময় ওই সংগঠনটির পাওয়া তথ্য বলছে, দেশটির বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িতদের মধ্যে ৩০ হাজার কর্মী তাদের চাকরি হারিয়েছে।
দেশটির বিমান কর্মীরা হয়তো আগামী ১২ এপ্রিলের পর কাজে ফিরতে পারবেন। কারণ, এর আগেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন বিধিবিধান আরোপ শর্তে বিমান চলাচলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন পরিস্থিতি অনুকূল বিবেচনায় ১৭ মে-র বিমান চলাচলের অনুমতি দেবে দেশটি।
বিমানে ভ্রমণকারীদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করলেও বিশ্বের বিভিন্ন পরিবহন সংস্থা লকডাউন তুলে যাত্রী পরিবহনে আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানানো হয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে।
যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দর পরিচালনা সংস্থার প্রধান নির্বাহী কারিন ডি সম্প্রতি দেশটির বিমান খাতের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে জানিয়েছেন, বিমান পরিবহনের সঙ্গে যুক্তদের অবস্থা একটু বেশিই খারাপ।