সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৪৮
শিরোনাম :

২০০ বিক্ষোভকারীকে মুক্তি দিল মিয়ানমার সরকার

অনলাইন ডেস্ক::

সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের একটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রায় ২০০ অভ্যুত্থানবিরোধী আটকা পড়ে। একদিন সেখানেই আটকে রাখার পর মঙ্গলবার (৯ মার্চ) তাদের ছেড়ে দিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার।

সোমবার ওই বিক্ষোভকারীদের আটকে রাখায় তাদের নিরাপদ মুক্তির জন্য সেনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘ।

জানা গেছে, ইয়াঙ্গুনের সানচং জেলায় কারফিউ উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ সোমবার রাতে রাস্তায় নেমে সেনাবাহিনীর মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে যাতে আটকে পড়া বিক্ষোভকারীরা নিরাপদে বের হয়ে যেতে পারেন। তবে আটকেপড়াদের না ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় নেমে আসা মানুষের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে সেনারা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে হয় কারাগারে না হয় বাড়িতে বন্দি করে রেখেছে সেনাবাহিনী। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজার ৮ শতাধিক মানুষকে।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ৬০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, সোমবারও (৮ মার্চ) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মিতকিনায় জান্তা সরকারবিরোধীরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে এতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে দাঙ্গা পুলিশ। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। পরে গুরুতর আহত দুজনের মৃত্যু হয়।

সেনা শাসকদের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে সোমবার ধর্মঘটের ডাক দেয় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড ইউনিয়নগুলো। ধর্মঘটের ফলে বন্ধ থাকে বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের দোকানপাট, কলকারখানা। নির্মাণ, কৃষি ও পণ্য উৎপাদনসহ অন্তত নয়টি খাতের ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘটে অংশ নেয়। এ ছাড়া আইন প্রয়োগের অজুহাতে হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনী।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা