বৃহস্পতিবার, ৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:০০
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এক কেন্দ্রের ৮ শিক্ষককে বহিস্কার প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে লাপাত্তা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাজশাহীর তানোর থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ মেহেরপুরে ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক সমগ্রী নুরজাহান আটক পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ নেতৃত্বে একাধিক ইট ভাটায় অভিজান মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত মেহেরপুরে জনসম্পৃক্তি বিষয়ক বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রায়পুরাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে অতর্কিত হামলায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগ- লুটপাট ও গুলিবিদ্ধ গৃহবধূ নিহত

‘চলতি বছর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি অগ্রগতি আসবে বাংলাদেশে

অনলাইন ডেস্ক::

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে বিশ্বব্যাংক। টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আগামী এক বছরে আরো জোরদার হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

আর্থিক সংস্থাটি বলছে, ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) তিন দশমিক ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আগের পূর্বাভাসে যা ২ শতাংশ ছিল। আর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ঠিক থাকলে আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংক নতুন করে পূর্বাভাস দিয়েছে। নতুন পূর্বাভাসে সংস্থাটি বলছে, প্রবৃদ্ধি অর্জনে এই অঞ্চলের সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে মালদ্বীপ।

এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান। বুধবার বিশ্বব্যাংক ‘সাউথ এশিয়ান ইকোনমিকস বাউন্স ব্যাক বাট ফেস ফ্রাজিল রিকোভারি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধির এ হার কমে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরেও সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে মালদ্বীপ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে ভারত। তৃতীয় অবস্থানে আসবে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে মালদ্বীপের প্রবৃদ্ধি হবে পারে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে কমে দাঁড়াবে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ভারতের ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির সংকোচন হতে পারে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে এরপর ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারত ঘুরে দাঁড়াবে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ১০ দশমিক ১ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির কারণে ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার আর্থিক প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক অবস্থায় চলে যায়। সংকুচিত হয় ৫দশমিক ৪ শতাংশ। এতটা দুর্দশাগ্রস্ত এ অঞ্চলের অর্থনীতি সাম্প্রতিক সময়ে হয়নি।
গত জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংকের ফ্লাগশিপ রিপোর্ট ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ এ চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। যেখানে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা