শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:০৮
শিরোনাম :
নেছারাবাদ সাগরকান্দার কুখ্যাত ডাকাত রুবেল খুলনায় আটক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ‍্যে নেছারাবাদ উপজেলায় মতবিনিময় সভা বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবসের কর্মসূচি প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রয় নিল ১৪ মিয়ানমার সেনা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি: শেখ ফজলে শামস পরশ বিআইডব্লিউটিএ’র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সার্ভিসের সাতটি ইউনিট অগ্রণী ব্যাংক ৯৭৫ তম রায়পুরা শাখার উদ্বোধন আসন্ন রায়পুরা পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে মোঃ বাহাউদ্দীনকে কাউন্সিলর করতে চান “ওয়ার্ডবাসী”

মুলাদীর বাটামারায় ডিসিআর পেলে ভূমিদুস্যদের হাত থেকে রক্ষা পাবে অসহায় হিন্দু পরিবার

মুলাদী প্রতিনিধিঃ

মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর বাজার সংলগ্ন পাল বংশের ৩০০ বছরের পুরাতন পুকুর সহ মন্দিরের সম্পত্তিতে ভূমি দস্যুদের নজর পরায় বিপাকে পরেছে পাল বংশের বর্তমান প্রজন্ম। যে পুকুরটিতে এক সময় পাল বংশের পুজা মন্ডবের অনুদানের পয়সা দিয়ে মাছ চাষ করা হতো, তা এখন ভুমি ভি পি সম্পত্তিতে রূপান্তর হওয়ায়, স্থায়ীয় একটি ভ’মিদস্যু চক্র ডিসিআর পাওয়ার আবেদন করেই সেখান থেকে হিন্দু পরিবারটিকে উৎখাত করার গভীর সড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জানা গেছে মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর বাজার সংলগ্ন পাল বংশের ৩০০ বছর যাবৎ ভোগদখলে থাকা একটি পুকুর ব্যবহার না হওয়ায় এখন মরা পুকুরে পরিনত হয়েছে। পুকুরটি বর্তমানে ভুমি দস্যুদের নজরে থাকায় তা রেজিষ্ট্রকৃত সম্পত্তি বলে দাবী করছে একটি মহল। শুধু পুকুরটিই নয় উক্ত পাল বংশের পুজা মন্ডব মন্দির সহ আশপাশের জমিও বিভিন্ন কৌশলে দখল করার পায়তারা করে আসছে ঐ ভুমি দস্যু মহলটি। স্থানীয় ভাবে জানাগেছে প্রভাবশালী আলমাছ গংরা উক্ত পুকুর সহ পাল বংশের অনেক জমি বিভিন্ন তারিখে রেজিষ্ট্রারী করিয়াছে মর্মে উক্ত দলিলের বলে পুজা মন্দিরটিতে পাল বংশের ওয়ারিশদের পূজা দিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান হিন্দু পরিবারটি। গত ২০২০ সালে উক্ত মরা পুকুরটি নিয়ে আদালত হলে তদন্ত প্রতিবেদনে আলমাছ গংরা দীর্ঘ দিন যাবৎ পুকুরটি ব্যবহার করেছে বলে উল্লেখ্য করা হলেও পুকুরটি দীর্ঘ বছর যাবৎ ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে রয়েছে এবং বর্তমানে ভিপি সম্পত্তি হিসেবে রয়েছে। প্রকৃত পক্ষে উক্ত পুকুরটি বর্তমানে বিপি সম্পত্তি হওয়ায় সরকারের কাছ থেকে ডিসিআর নেওয়ার জন্য একাধিক দল পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। পাল বংশের ওয়ারিশগনরা দাবী করে বলেন আমাদের পূর্ব পুরুষের ব্যবহারকৃত পুকুরটি যেন তাদের নামেই বরাদ্ধ দেওয়া হয়। আমরা হিন্দু অসহায় বলে আমাদের মালিকানা সম্পত্তিই অন্যেরা জোড়পূর্বক দখল করে নিচ্ছে, আর যদি আমাদের পূর্ব পুরুষের দখলিয় সম্পত্তি তাদের নামে বরাদ্ধ করা হয় তাহলে আমার আমাদের ধর্মীয় উপাসনালয় সহ বিভামাটি হারা হবো। এব্যাপারে বাটামারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে উক্ত সম্পত্তি ভিপি হয়েছে কিন্তু পূর্বে এই মরা পুকুরটি হিন্দুরাই ভোগ দখলে ছিল, সরকার যদি হিন্দুদের নামে উক্ত সম্পত্তির ডিসিআর করে দেন তাহলে এই হিন্দু পরিবারটি বেচে যাবে অন্যথায় অন্য কাউকে ডিসিআর দিলে হিন্দু পরিবারটিকে ভিটে মাটি হারা হতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাস বলেন, আমি তদন্ত করেছি, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমি প্রতিবেদন দাখিল করবো।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা