অনলাইন ডেস্ক:;
খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপের মাধ্যমে খুলনা জেলায় সরকারি চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বুধবার (১২ মে) সকালে ঢাকা হতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কোন স্বপ্ন নয়; এটা এখন বাস্তবতা। প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকও এখন এর সুবিধা পাচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচলে; দেশ বাঁচবে। কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবারের বোরো সংগ্রহে ধান-চাল ক্রয়ে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং কোনোভাবেই কৃষককে হয়রানি করা যাবে না। ইতোমধ্যেই ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে প্রতিটি জেলার খাদ্য অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বছর কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে।
চালের মান নিয়ে কোনো আপস নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চালের মান ঠিক রেখে, সঠিকভাবে শতভাগ সংগ্রহ সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সরকারের সবশেষ নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম অঙ্গীকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতি আনা সম্ভব। ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান এবং মিলাদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের ফলে একদিকে যেমন অল্প সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
অপরদিকে খাদ্য বিভাগ, কৃষক এবং মিলারদের মধ্যে দ্রুত সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে গতি আনয়ন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপ যা গতবছর খুলনা জেলায় নির্বিঘ্নে সফলতার সাথে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে চাল সংগ্রহে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। গত মৌসুমে খুলনা জেলায় ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপের মাধ্যমে মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। খুলনা জেলায় শতভাগ চাল ক্রয় ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে সফলতার সাথে সম্পন্ন হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাল উপায়ে চাল সংগ্রহ করায় তার প্রভাব পড়ে। ফলে এ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল অ্যাপ ব্যবহার করে চাল সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।