রবিবার, ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:০৩
শিরোনাম :
জুলাই সনদ পুরোপুরি আইনিভাবে প্রকাশের পর নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলনের দুমকী উপজেলায় মাদক বিরোধে ছুরির কোপ: আহত যুবক বরিশালে রেফার। বরিশালে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনে শহীদ নলছিটির সাহসী সন্তান সেলিম তালুকদারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী বরিশালের উজিরপুরে একমাত্র ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত! ভোলায় পাঁচ দিন ধরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন বৈষম্যবিরোধী নেত্রী ময়ূরপঙ্খী অ্যাওয়ার্ড পেলেন ‘বাংলার মিস্টার বিন’ খ্যাত রাশেদ সিকদার ঝালকাঠি জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম দুমকি উপজেলায়, ভয়াবহ রূপ নিয়েছে মাদক ব্যবসা ও সেবন।। ঢাকাস্থ্য দপদপিয়া ইউনিয়ন কল্যাণ সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ঈদ পূর্ন মিলন অনুষ্ঠান

হত্যা-গুম জিয়া শুরু করেছিলেন শোক দিবসে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় :প্রধানমন্ত্রী

বিজলী ডেক্স:

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য যা কিছু করা দরকার জিয়াউর রহমান সবকিছুই করেছেন। হত্যা-গুম জিয়া শুরু করেছিলেন। জিয়া ও তার স্ত্রী এবং ছেলে সবার হাতে রক্তের দাগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাহাজ কিনেছিলেন হজ করার জন্য। জিয়াউর রহমান সেটাকে প্রমোদতরী বানিয়েছিলেন। সেখানে ছাত্রদের নিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি এসব কাজ করেছিলেন।

গতকাল ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ (ভার্চুয়াল) করে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন। অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করেছেন নির্মমভাবে। অনেকের লাশ গুম করে দেয়া হয়েছে। এখন যারা গুমের কথা বলে তাদের বলব, হত্যা-গুম জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। জিয়া ও তার স্ত্রী এবং ছেলে সবার হাতে রক্তের দাগ। এদের তো কোনো শিক্ষা-দীক্ষা নেই। ক্ষমতাকে তারা ভোগের বস্তু হিসেবে দেখে। সে কারণে ক্ষমতায় থাকতে, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে এবং খুন করতে তারা কোনো দ্বিধাবোধ করেনি। কিন্তু আমরা সেটা করি না, ক্ষমতাকে দায়িত্ব মনে করি। এ কারণেই ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন এই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষের পাশে থাকতে হবে বিপদে-আপদে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। ধান কাটার সময় তোমরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে ধান কেটে তাদের ঘরে পৌঁছে দিয়েছ, এ জন্য তোমাদের ধন্যবাদ। এ জন্য আমি খুব আনন্দিত। সারাদেশের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কোনো কাজই অবহেলার নয়, এটা তারা প্রমাণ করেছে। বন্যার সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই ছাত্রলীগ কর্মীরা সহযোগিতা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ করোনাকালে লাশ দাফন করছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করছে। যারা হাত পেতে সাহায্য চাইতে পারে না ছাত্রলীগের কর্মীরা গোপনে গিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছে। এভাবেই তোমাদের কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নেবে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা