অনলাইন ডেস্ক::
করোনা মহামারির আঘাত সামলে দেশে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সময় হলেই খুলে দেয়া হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আর একটু নিয়ন্ত্রণে আসলে স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হবে। তখন শিক্ষার্থীরা (ছেলে-মেয়েরা) স্কুল-কলেজে যেতে পারবে।
এ সময় ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে ব্যঙ্গ হলেও, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রশংসা বিশ্ব দরবারে অর্জন করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন এসে গেছে আমি জানি এটি নিয়ে অনেক কথা, যারা এটি নিয়ে নানা সমালোচনা করেছেন শুনেছি, উত্তরটা ভ্যাকসিন আসার পরে বোধহয় ভ্যাকসিন নিজেই উত্তরটা দিয়ে দিয়েছে, আর যারা বলেছেন তাদের মুখেই থাপ্পড়টা পড়েছে, আমার কিছু করার নেই।
এদিকে, দেশে বিদেশে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’। সকালে একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। অধিবেশনের সমাপ্তি সূচক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে, করোনা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক সংকট ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাস্থ্য সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করে পরিচালিত এ সংসদে পাস হয়েছে ৬টি আইন। পাশাপাশি টানা সাধারণ আলোচনা চলেছে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর। বিধি অনুযায়ী সকালে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশনে সমাপনী ভাষণ দেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে রাজনৈতিক ইস্যু। তিনি বলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রে কালো অধ্যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা।
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো সাড়া না পাওয়ায় ক্ষোভ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে নানান ব্যঞ্জনায়।
তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা বিএনপির জন্মগত চরিত্র। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে। দেশে ও বিদেশে নানাভাবে অপপ্রচার চলছে। আমি বিশ্বাস করি, সততা নিয়ে কাজ করলে সেই কাজের সুফল জনগণ পেলে সেখানেই আমাদের প্রশান্তি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীণতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে পদার্পণ করেছি। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতেও ক্ষমতায় ছিলাম। সৌভাগ্য যে সুবর্ণজয়ন্তীতে ক্ষমতায় থাকতে পেরেছি। সুবর্ণজয়ন্তী পালনে আমাদের অনেক আকাঙ্ক্ষা ছিল। বছরব্যাপী আমরা অনুষ্ঠান করবো। অনেক অনুষ্ঠান আমাদের চিন্তায় আছে। করোনার দ্বিতীয় ওয়েব দেখা দিয়েছে। আমাদের এজন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আমরা সব কর্মসূচি নিয়েছি। তবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কর্মসূচি পালন করবো। কারণ আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া।