বুধবার, ২০শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৪৩
শিরোনাম :
জুলাই সনদ পুরোপুরি আইনিভাবে প্রকাশের পর নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলনের দুমকী উপজেলায় মাদক বিরোধে ছুরির কোপ: আহত যুবক বরিশালে রেফার। বরিশালে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জুলাই আন্দোলনে শহীদ নলছিটির সাহসী সন্তান সেলিম তালুকদারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী বরিশালের উজিরপুরে একমাত্র ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত! ভোলায় পাঁচ দিন ধরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন বৈষম্যবিরোধী নেত্রী ময়ূরপঙ্খী অ্যাওয়ার্ড পেলেন ‘বাংলার মিস্টার বিন’ খ্যাত রাশেদ সিকদার ঝালকাঠি জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম দুমকি উপজেলায়, ভয়াবহ রূপ নিয়েছে মাদক ব্যবসা ও সেবন।। ঢাকাস্থ্য দপদপিয়া ইউনিয়ন কল্যাণ সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ঈদ পূর্ন মিলন অনুষ্ঠান

সোয়া কোটি পরিবারের জন্য করোনা সহায়তা ৫৭৪ কোটি টাকা’

অনলাইন ডেস্ক::

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এতে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর সচিবালয়ে সার্বিক ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯-এর ফলে বাংলাদেশে চলাচল সীমিতকরণের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারাদেশের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য সরকার কর্তৃক গতবছর বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় সরকার এ পর্যন্ত ৫৭৪ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি দেশের সব সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য আরও টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ টাকা দিয়ে শিশু খাদ্য ক্রয় করে তা বিতরণ করা হবে। এর ফলে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ পরিবার উপকৃত হবে।’

এনামুর রহমান আরো বলেন, ‘আমরা জিআর ক্যাশ দিয়েছি ১২১ কোটি টাকা, ভিজিএফ দিয়েছি ৪৭২ কোটি টাকা। বড় সিটি কর্পোরেশনগুলোকে ৫৭ লাখ টাকা করে আর ছোট সিটি কর্পোরেশনগুলোকে ৩২ লাখ টাকা করে দিয়েছি। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকেও টাকা দেয়া হয়েছে।’

এছাড়া করোনাসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সব সময় অর্থ বরাদ্দ/মজুদ রাখা হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য তিন লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরির জন্য আড়াই লাখ টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি জেলার জন্য দুই লাখ টাকা করে সবসময় মজুদ রাখা হয়, যা জেলা প্রশাসকগণ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যয় করতে পারেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী অতিসম্প্রতি কর্মহীন মানুষকে আর্থিক সহায়তার জন্য ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যামে সরাসরি প্রান্তিক জনগষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও হিট শকে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকার প্যাকেটজাত খাবার ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডুলস ও চিড়াসহ বিভিন্ন আইটেম আছে। ১০ কেজি চালসহ প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে প্রায় ১৭ কেজি ওজনের খাদ্য সামগ্রী থাকবে, যা দিয়ে একটি পরিবারের প্রায় এক সপ্তাহ চলবে বলে আশা করা যায়। আরও ১০ কোটি টাকার খাদ্যসামগ্রী কেনা হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণের জন্য খুব শিগগিরই ৪০ কোটি টাকার ঢেউটিন কেনা হবে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআর/কাবিখা খাতে তৃতীয় কিস্তিতে ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় কর্মহীন মানুষ এ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
কালবৈশাখি, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যাসহ বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার জন্য ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সেটা পর্যাপ্ত কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই পর্যাপ্ত নয়। কারণ যে পরিমাণ মানুষ কর্মহীন রয়েছে, তাতে এই ৫০-৫৭ লাখ টাকা কোন অংকই না। মেয়ররা বলেছেন ৫০ লাখ না দিয়ে যদি ৫ কোটি দেন তাও এখানে কুলাবে না। আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নগরের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন, নগরে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেশি। আমরা প্রস্তুত আছি, এটা বিতরণ করুন। আবার চাহিদা পাঠান আমরা দেব।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানি, লোকাল ক্রয় এবং বোরো উৎপাদন মিলিয়ে আমরা মজুতের ক্ষেত্রে স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। আমাদের খাদ্য সংকট হবে না। আমাদের সরকারের সামর্থ্য আছে, যতদিন প্রয়োজন আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন ।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা