বিশেষ প্রতিনিধি (গৌরনদী ) :
বগুড়া থেকে বরিশালে নিয়ে যাওয়ার পর কলেজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারকে তার স্বামী সাকিব হোসেন হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এরপর থেকেই লাশটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে সন্ধান মেলেনি দু’দিনেও।
মঙ্গলবার (১ জুন) দিনব্যাপী বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামে সাকিবের ভাড়া বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। আগের দিন একইভাবে অভিযান চালানো হয় পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে। তবে খোঁজ মেলেনি লাশের।
বাবার অসুস্থতার কথা বলে সাকিব গত ২৪ মে বগুড়া থেকে গৌরনদীর বাটাজোরে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসে নাজনীনকে। সেই থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল উভয়ের। ২৬ মে নাজনীনের বাবা বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করলে পুলিশ সাকিবকে আটক করে।
সাকিব হোসেন বলেন, আমাদের ওয়াশরুমে টিনের বেড়া দেখে আমার স্ত্রী প্রচণ্ড খারাপ বাসায় রাগারাগি করে। এতে আমার খুব রাগ উঠে যায়। তাই রশি এনে গলায় গিট দিয়ে বালিশ চাপা দিলে সে মারা যায়।
নাজনীনের ভাই আব্দুল আহাদ বলেন, সাকিব ফোন দিয়ে আমার বোনকে বলে তার বাবা নাকি খুবই অসুস্থ। তাই নাজনীনকে এখনি যেতে হবে।
সাকিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাজনীনের মৃতদেহ উদ্ধারে অভিযান চলছে।
গৌরনদী মডেল থানা ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, গৌরনদী থানাধীন বিভিন্ন এলায়কায় আমরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি।
বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, মেয়েটি এই এলাকায় আছে বলে সে ধারণা দেওয়ার কারণেই সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এই এলাকায় এসেছে।
গত বছরের এক অক্টোবর বগুড়ায় তাদের বিয়ে হয়। নাজনীন বগুড়ার গাবতলীর সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। বগুড়া সেনা নিবাসের ঝাড়ুদার পদে কর্মরত ছিলেন সাকিব।